শকুন্তলা, হাঁটু গেঁড়ে বসেছি তোমার সামনে অনিবার । অর্ধনগ্ন পদযুগল থেকে চোখ সরাইনি কোন অদৃশ্যে । কালের গর্ভে হারিয়েছে দ্বিধাবিভক্ত স্বর্ণযুগ । অভিমানী কষ জমে জমে বিভক্তির দ্বারে এসে মাতন করেছি উন্মাদনায় ।
মূলতঃ
দৃশ্যপট জুড়েছিল সৌহার্দ ;
ধমনীর গাঢ় নীল পথে বিকিয়ে গ্যাছে সম্ভ্রম । উড়ে উড়ে বেড়ায় আলগা
পরাগ ! তবু বুঝতে দিইনি শকুন্তলা, রোদেরা যেমন জীর্ণ হয়,
তেমনি নিযুত সৃষ্টিশীলতার ধ্বংস হয়ে যাবার উপাখ্যান।
হে প্রভু
!
এই
টলটলে হ্রদের ধারায় নিমগ্ন আমায় পাঠাও নির্বাসনে ;
দৃষ্টি
তুলবো না পরিণত ।
ওই
অর্ধনগ্ন শ্যামবর্ণেই বিস্মৃত হোক যাবতীয় পাঁচালি,
ইতিহাস
রচিত হোক প্রতিটি বাক্যে ...
‘ক্ষীণ
হতে হতে
ক্ষীণ হতে হতে
ক্ষীণ হতে হতে
বিলুপ্ত
আমি শকুন্তলা’
রাত্রির জড়তা বাড়ে
চোখ
দুটো রাঙাই ঘুম রঙে
আঁকি উত্তুরে হাওয়া আটকে দেবার জানালা
দেয়াল আঁকা হলে শুধু –
দম
বন্ধ হয়ে আসে
দম
বন্ধ হয়ে আসে
দম
বন্ধ হয়ে আসে
আশায় আশায় ...