আপ্রাণ
যে ছেলেটা ফিরে আসছে
সাদা
বালি থেকে, রেশমি রাস্তা থেকে-
আস্ত
পাগড়ি ছুড়ে ফেলে সে যেন ক্রমশঃ কলকাতা হয়ে উঠছে।
তাকে
ছুঁয়ে দিলেই এঁটো বাসনের ঝনঝনে
একাকার
হয়ে যাচ্ছে চেতলা আর হাতিবাগান।
এখনো
কিছুটা সময় বাঁশি হয়ে ঝুলে আছে ঠোঁটে।
কিছুটা
সংযমে কষা হচ্ছে নিতান্তই ধুলোবালিছাই-
বাকিটুকু
গাঢ় কি সে ছেলের উষ্ণতা
হয়ে
উঠবে না? এই প্রত্যন্ত শহরে?
(২)
এভাবে
প্রতিরোধ রাখো বারবার।
হোর্ডিং
থেকে দমকা হাওয়া পর্যন্ত মিহি মিহি শরম উড়ে গেলে
তুমি
বোলো কিভাবে এ শহর বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
যেটুকু
স্পর্শের ছোপ ফেলে এসেছিলে সে মরুদেশে
তারা কখন যেন টেবিল, বিছানা গুছিয়ে
দিয়ে গেছে।
কোনো
তুমুল বজ্রদিনে এভাবেই বেদুইন হয়ে যাও।
আমি আরও
অনেকটা বিদ্ধ হই
তোমার
সেই উর্দি পরা চাহনিতে।
(৩)
শেষবার
অনামিকা তুলেছিল যে বিশ্বাস
সে
বালির কাছে কবুল করেছে এই
তুমি
সবুজ মানে আঁচল খুঁজে ফিরছ।
চমক
ব্যালকনিতে অলস চেয়ার
তোমায়
কখনো হয়ত মনে করিয়ে দিচ্ছে
কোনো
লালশাড়ির শাসনজনিত টহল।
এবার
হাইফেন টানো ছেলে।
মিঠে
রোদে ঠেস দিয়ে দাঁড়াও।
এই গলি
পথে তোমার জিজ্ঞাসার সামনে
কুমারী
হয়ে উঠি আমি; হয়ে উঠি আরও খানিক ঠুনকো।
(৪)
এতকিছু
ভেবে উঠিনি।
দিব্যি
কাছে টেনে নিয়েছি মাফলার
ট্রামের জানালায়।
হুহু
ঝটকা দিলে মানে মানে গুছিয়ে রেখেছি
ঝুলবারান্দা
থেকে ট্রাফিকের দূরত্ব গুলো!
আসলে
জেবরা ক্রসিং'এ আমাদের হাত ধরাটুকু বাকি আছে এখনও।
ময়দানে
বাকি রয়ে গেছে প্রণয়টুকু!
এবার
সমস্ত ব্যাধি মুছে নিয়ে
দ্যাখো
দেখি ছেলে,
কলকাতা
প্রতিবেশী হয়ে উঠছে কেমন!