ব্যতিক্রমী কবিতার ওয়ালেট 'দ্বি' এবং 'ত্রৈ'

ছবি ঋণ: রুবাইয়া তুশমী
গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে গতবছর কবিতার ওয়ালেট 'দ্বি' প্রকাশ করেছিলেন নিজের প্রকাশনি সংস্থা চন্দ্রবিন্দু থেকে। ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার পর এবারের মেলায়ও বের হয় নতুন কবিতার ওয়ালেট 'ত্রৈ'... বলছিলাম কবি চৌধুরী ফাহাদের কথা। তিনি সবুজের কবি। ঝিনুকের মত হয়তো ভেতরে পুষে রাখেন বিষের বালি অথচ কী আনন্দম স্বচ্ছ নির্ভেজাল অভিমান নিয়ে লিখে যাচ্ছেন সময়ের প্রতিচ্ছবি! দ্বি কিংবা ত্রৈ মুলতঃ ছোট কবিতার এক গয়নার বাক্স এর মত। যতই গভীরে যাওয়া যায় যেনো বিষণ্ণতার এক সুখকর বাতাস বয়ে যায়। অনেক কথাকে কবি খুব সহজেই অবলিলায় বলে দিয়েছেন মাত্র কয়েক লাইনে। সহজ কথাকে একটু ঘুরিয়ে বলা, প্রচন্ড জমে থাকা ক্ষোভ অথবা বেদনার কার্নিশে ঝুলে থাকা যাপনের এইসব হাহাকার কখনো কখনো গোপণে অথবা প্রকাশ্যে প্রাচার করে দিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে, পাঠকের বোধে।

মানুষ জীবন্ত ঘোড়ার পিঠে চড়তে ভালোবাসে! মৃত প্রায় ঘোড়ার জন্য খড়বিচালি কেউ সংগ্রহ করতে চায় না। কবি বোধহয় বুঝে গিয়েছিলেন সময়ের এই হিংস্র পারাপারে ভেঙ্গে যাচ্ছে আকাশ ছোঁয়ার সাঁকো। তাই সমস্ত রকমের দুঃখ, বেদনা, অভিমান আর সন্ধ্যাতারার গানে রাত খেকোর মত রূপকথা ঢেলে দিয়েছেন নিজের কাব্য জগতে।

ব্যতিক্রমী কবিতার ওয়ালেট 'দ্বি' এবং 'ত্রৈ' সম্পর্কে জানতে চাইলে কবি জলফড়িং কে বলেন: "মানুষ যেতে চায়। নানাদিকেই যেতে চায়। যেখানে শরীর যেতে পারে না, স্নায়ু যায়, কল্পনা যায়। এই যেতে চাওয়া, বারবার নিজের বাইরে চলে যাওয়ার যে তাড়না তার ভেতর থেকে যে বোধ উঠে আসে মূলত তার নির্যাসই হয়ত কবিতা। নিজের বাইরে গিয়ে, নিজের গভীরে গিয়ে যে জলটুকু অবশেষ হিসাবে থেকে যাচ্ছে, সেই জার্নি থেকে সঞ্চিত উপাদান এক করে তারও সারসংক্ষেপ হচ্ছে আমার এই কবিতার কিতাব 'দ্বি' বা 'ত্রৈ', যাকে বলছি কবিতার ওয়ালেট। নির্বোধ সময়কে প্রবোধ দিয়ে ব্যাধি ও বোধের যুগলসন্ধী এই যাত্রা..."

বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে:

বাংলা একাডেমি বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
চন্দ্রবিন্দুর ৬০৭ নং স্টলে,
চট্টগ্রাম বইমেলার চন্দ্রবিন্দু ১২১-১২২,
পাবনা বইমেলা স্টল নং ১৩,
সিলেট বইমেলা, স্টল নং ২৩-২৪,
খুলনা বইমেলা, স্টল নং ৮৬-৮৭,
এবং রকমারি.কম এ এখানে ক্লিক করে

SHARE THIS

Author: