সন্ধিক্ষণ
মনে পড়ে সন্ধ্যা ছিল আবেগঘন তখনও
বিস্মিত বা উত্তেজিত ছিলাম আমি নিজে
স্বভাবসুলভ অহংকারের আপত্তি সত্বেও
আকাশ দেখেছিলাম ঘন নীল আকাশের নিচে
প্রয়োজনের সন্ধিক্ষণে ভালো লাগার টান
অক্ষরে অক্ষরে যেন পূর্ব নির্ধারিত
স্বপ্নসফল ম্লান মেয়েটি পাণ্ডুলিপি খুলে
অন্ধ শব্দে ইচ্ছে মতন স্নেহের দাগ দিত
ব্যবহার ও ভঙ্গিমাকে খুঁটিয়ে দেখলেও
সহায়তা লুট হয়েছে বিভিন্ন উচ্ছ্বাসে
মিলনসুখের বৃষ্টি দেখে বিদ্যুত্প্রবাহ
রাত্রির প্রণয়চিহ্ন ফুসলে নিয়ে আসে
ছুটি হচ্ছে পরিসরের বাষ্পচোখ খোলা
হেঁটে যাচ্ছি হে উদাসীন সাহায্য ছাড়াই
অনুরোধের বিবেচনা উপলব্ধি করে
প্রমাণস্বরুপ শুশ্রুষাকে কুড়িয়ে নিয়ে যাই ।
মাথাভাঙা
এসো ,খালি হাতে দলবল নিয়ে এসো
ঝড়ে উড়ে গেল গ্রামের মাথার ছাদ
কিছু না থাকুক যত্ন তো আছে চোখে
আরো দশদিকে উড়ে যাক সংবাদ ।
ন'দির আঙুলে সেলাই হচ্ছে পথ
ছেঁড়া পথটাকে রিপু করে নিলে , আরো
বেশ কিছু দিন চলে যাবে আমাদের
দরকার নেই সাহায্য আর কারো ।
তালগাছ সব গাছেদের চেয়ে উঁচু
এত সোজা গাছ গ্রামেতেই ভালো মানায়
অন্ধ ফকির দরগায় বসে বসে
তালপাতা কেটে ঘরের ছাউনি বানায় ।
মানুষ কি কারো হাতের বানানো পুতুল ?
মাথা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগবে না !
যতদিন মাটি নরম থাকবে গ্রামে
বিপদে একটা ব্যবস্থা ঠিক হবেই ।
ভূমিপুত্র
অদ্বৈতভূমিতে থাকি গঙ্গাস্নান বাকি রাখি
হিংসাদ্বেষ ভুলে যাই মনু ।
কল্পনা উপরি পাওয়া পঞ্চাশোর্ধে রেখে যাওয়া
একবিংশ শতাব্দী দেখিনু ।।
মোবাইলে সূচনাপাত ধাক্কা খায় সাম্যবাদ
বেলগাছে ফাল্গুনের হাওয়া ।
সুরধনী তীরে বাবলা হরির নাম খাবলা খাবলা
মিনিকিট চাষ করে যাওয়া ।।
নদিবুকে পূর্ণ কৃষি সকলেই মুণি ঋষি
জীবিকাও মননের জন্য ।
সকাল বিকাল কাটে শান্তিপুর রাণাঘাটে
রাত্রে দেখি আলাদা অরণ্য ।।
বহিরঙ্গে লাগে চোট অন্তরে ব্রহ্মের ঠোঁট
খুঁটে খাই বিশ্ব দানা দানা ।
অতঃপর কি যে ঘটে প্রচ্ছন্নমলিনপটে
অরঘ্য এসে দ্যাখে বারোআণা ।।
বাকিটা আড়ালে রাখি রবীন্দ্রনাথের রাখী
আসলে তো আদি বাংলাভাষা ।
নদিতীরে দুই মাঝি তুমি আছো আমি আছি
অধিকন্তু রয়েছে পিপাসা ।।
মধুলোভে অলিগন বুঝে সুঝে দিনক্ষণ
পক্ষ বা বিপক্ষ বেছে নিল।
উৎসব মিছিলে যাওয়া ভোটে পঞ্চায়েত হাওয়া
নিরপক্ষ দর্শণ ভাঙিল ।।
কোথায় যশের হাট কি পেছল পথঘাট
মেধাযন্ত্র ছাড়া গতি নেই ।
মধু খাওয়া করে সাঙ্গ মৌচাক নিজেই ভাঙবো
মৌমাছিতন্ত্রের মানেই
শিল্প অনুবাদ হীন হতাশায় ভোগে দিন
কি ভাবে যে রাখি প্রেক্ষাপট ।
নদিয়াতে ছিল বাস মহাপ্রভু কৃত্তিবাস
সমকাল ওলট পালট ।।
তার চেয়ে কোলকুঁজো গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজো
অলিগণ সোজা পথে ধায় ।
বাঙালী তিরিশ কোটি অতঃপর ভেঙে ঘটি
আয় নদি আয় নদি আয়।।
আয় নদি আয় নদিয়ায় ...
স্বরুপদিঘি
ফেরৎ পাওয়া দ্বিতীয় ঐশ্বর্য কোথায় লুকোব ? সতর্ক অথচ জেদি কাল্পনিক কয়েকজন রাজা অনেক কষ্টে চেপে রাখছেন হাত কামড়াবার ইচ্ছে । প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশী । বাধ্য হয়ে মিছিলের পেছনে যাচ্ছেন হাইস্কুলের নব মাস্টার গরীবপুর গ্রামেই ছুটি হয়ে যাওয়া দিঘির পাশের মাঠ প্রশস্তকপাল মেঘলা ছেলেটি ছুটতে ছুটতে পার হয়ে জংসনে পৌঁছেই কিচ্ছু না ভেবে উঠে পরল নিরিবিলি ঠাণ্ডা মহিলাকামরায় । আশ্চর্য ছবির যত্ন সত্বেও ঝিমিয়ে আছে স্বরুপদিঘির ছেলেবেলা , হাওয়া হার মেনে নিতান্তই সঙ্গে সঙ্গে চলে ।দিকভ্রষ্ট না হওয়ায় অভিভাবকসুলভ ভ্রাম্যমান পাখির স্মৃতিতে আজ অব্দি স্মরণীয় আঘাত লাগেনি । জেগে আছি মুখোমুখি । এইবার নিশ্চিন্তে আমাকেই আবার হারিয়ে ফেলব আমি ।অন্তর্ধানপদ্ধতি সহজে শিখলাম।