গতশীতে
সাইবেরিয়া থেকে আসা একটি পাখি ফেরত যায়নি বলে খবরে প্রকাশ রয়েছে! পাখিটির চোখ আঁকা
গলায় একটি মাদুলি রয়েছে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে পড়ে বুনোফুলের ঘ্রাণ ...
পাখিটির ভাষা বিষয়ে কোনকিছু বলা হয়নি। রাত-বিরেতে পাখিটির কান্নায় ভেসেছে যে নদী,
তার জবানিতে পাওয়া গেল উক্ত তথ্য!
পাখিটির
সাথে বিষহরির দ্যাখা হয়েছিল- পোয়াতি মাঘি অমাবস্যায়। খালপাড় তুঁতের বাগানে দাঁড়িয়ে
বিষহরি বলেছিল একদিন- “সবগাছে কেন পাখি বাসা বাঁধে না”
টেরাকোটা – ২
মাতামুহুরির জলে কখনো স্নান করিনি। কেন; এই আক্ষেপ নিয়ে যে কোন একটি
সকালের শুরু হতেই পারে ।
একটি কাপের নিকটবর্তী হয়ে, ফেলে দেওয়া যাবে এমন ভাবনাকেও
চুমুতে চুমুতে আরো গাঢ় করা যেতে পারে। সবসুদ্ধ একটা নদীই হয়তো ভেতরে বইয়ে নিয়ে
যাওয়া যায়...
কেন যে নদীর সবটা জল নয়; কিছুতেই নয়
অ্যান ইভনিং ইন নভেম্বর
শহর
থেকে বেরুতে চাইলেই
নভেম্বর
এসে বাঁধা দেয়
নভেম্বর
কি আমার আত্মীয়?
কই? কেউ তো বলেনি;
কোনোদিন
তবে শীত? সে আমার কি হয়?
নিকটাত্মীয়
বখাটে
ধানগাছে রেখে যাওয়া
শিশিরের
জন্য জানাইনিতো কৃতজ্ঞতা;
বিকেলে
হলেই, কে যেন নামিয়ে দেয়
সুগন্ধি
ধোয়া, "সুগন্ধি"? হ্যাঁ...
শীতবিকেলের
শুরু হওয়া ধোঁয়াগন্ধী ছাতিমউৎসবে
ঘুরতে
ঘুরতে মা যে কখন ফেরত এসে চলে যায়
কেউ জানিনা
তবু, নভেম্বর আর
শীত নাকি
আমাদেরও
আত্মীয়
মার্বেলের জীবন
ধোঁয়াশা, ম্রিয়মান
নকল ফুলের অভিনয় দেখতে দেখতে চোখের ভেতর বড় হয়ে উঠছে জ্বরের তীব্রতা!
চুম্বক দেখে এখনো লিখে নিতে হচ্ছে
মার্বেলের জীবন।
নখের মওসুম জুড়ে যেখানে জারির আসর; সেখানেও শীতের জখমে ড্রাগন ফলের
বাগান জুড়ে রচিত হতে যাচ্ছে বর্ষার অধিকার