কি বন্ধুরা মন ভালো তো ? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজ গাঁজা নিয়ে ভালোচনা করে জেনে নিবো কি এর উপকারিতা। অনেকেই ভাববেন যে গাঁজার আবার কি ভালো গুণ আছে, ওটা তো একটা নেশার জিনিস আর খুব খারাপ জিনিস। আবার অনেকেই হয়তো হাসবেন আর বলবেন যে গাঁজার আবার ভালো জিনিস হয় নাকি ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে বন্ধুরা একটা কথা বলবো যে বেশিরভাগ জিনিসেরই ভালো দিক আর মন্দ দিক আছে। কিন্তু আমরা সেটাকে জানার চেষ্টা করিনা বা জানিও না। হ্যাঁ বন্ধুরা একথা কিন্তু সত্যি যে গাঁজার মধ্যে আছে বেশ কিছু উপকারিতা যে আপনি জানলে চমকে যাবেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক নেশাগ্রস্থ জিনিস আছে যেটার মধ্যে আছে উপকারিতা। কিন্তু বন্ধুরা কোনো নেশার জিনিস যে বেশি বা রোজ একদম ভালো নয়, তাতে আপনার শরিরের ক্ষতি হতে পারে। আপনি যেই নেশার জিনিস গ্রহণ করবেন না কোনো একটু তার ব্যাপারে জেনে নিয়ে করা ভালো। পরিমাণ মত খাওয়া ভালো, মনে রাখবেন- অতিরিক্ত সব জিনিসই খারাপ।
গাঁজা ( Cannabis) মূলত সপুষ্পক উদ্ভিদের গণ, যেখানে সাতিভা গাঁজা, ইন্ডিকা গাঁজা, এবং রুডের্লাসাইস গাঁজা। এই তিন’টি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি অন্তভুর্ক্ত রয়েছে। এটি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার স্থায়ীয় প্রজাতি। গাঁজা দীর্ঘকাল ধরে বীজ ও বীজতেল, ঔষধি উদ্দেশ্যে এবং একটি বিনোদনমূলক ড্রাক হিসেবে শণ আঁশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আঁশের উত্পাদন বৃদ্ধি নির্বাচন করতে বাণিজ্যিক শণ পণ্যসমূহ গাঁজা গাছ থেকে তৈরি করা হয়।
ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার। গাঁজা গাছের শীর্ষ পাতা, ডাল এবং ফুল যা এই উপমহাদেশে গাঁজা নামে পরিচিত একই জিনিস পশ্চিমা দেশ গুলোতে মারিজুয়ানা বা মারিহুয়ানা নামে পরিচিত। গাছের পাতা বা ডালের আঠালো কষ দিয়ে তৈরী এ অঞ্চলের চরস নামের জিনিসটিই পশ্চিমা দেশের হাশিশ। এছাড়াও ভাং, সিদ্ধি, পাট্টি, সব্জি, গ্রাস, মাজুন নানা নামে ডাকা হয়।
অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রচুর গাঁজা সেবনকারি আছে। যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এই আইনের ৯ ধারায় বলা আছে, অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার হয় এমন কোনো দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন বা পরিবহন ও আমদানি-রপ্তানি করা যাবে না। আরও বলা হয়েছে এ জাতীয় মাদক সরবরাহ, বিপণন, কেনা-বেচা, হস্তান্তর, গ্রহণ-প্রেরণ, লেনদেন, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাবে না। সেবন অথবা ব্যবহারও করা যাবে না।
আইনের ৯ ধারা লঙ্ঘনে কী ধরনের সাজার বিধান রয়েছে সে সম্পর্কে আইনের ৩৬ ধারায় বিশদ বলা হয়েছে।
জাতীয় জনমত জরিপে ৭০% ক্যানাডিয়ানদের গাঁজাকে আইনসিদ্ধ করার পক্ষে দেখা যায় । ফলে ২০১১ সাল থেকে ক্যানাডা সরকার গাঁজার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে এখন ক্যানাডায় গাঁজা বৈধ। যদিও গাঁজা সেবন করার ফলে ও গাঁজা আইনসিদ্ধ করার ফলে যেসব সমস্যা তৈরি হতে পারে, তা দূর করার লক্ষ্যে ক্যানাডার সরকার বড় ধরনের প্রচারাভিযান শুরু করেছে।
আমরা এবার জেনে নিবো গাঁজা খেলে শরির ও মনে কেমন প্রভাব বিস্তার করে-
১. গাঁজায় আছে টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনোল (টিএইচসি)। এটা মস্তিষ্কে এমন এক অংশে কাজ করে যে অংশটি সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। কাজেই পেটপুরে খাওয়া বা সেক্সের মতোই সুখ দেয় গাঁজা।
২. গাঁজা সেবনের পর হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ২০-৫০টি বেড়ে যায়। এ অবস্থা ২০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্ট পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
৩. গাঁজায় আরো আছে ক্যানাবিডিওল (সিবিডি)। এটি থেরাপির কাজ করে। বিশেষ ধরনের ব্যথানাশক হিসাবে দারুণ কাজের এটি। শিশুকালে কারো মৃগীরোগ থাকলে উপকার মেলে।
৪. বেশ কিছু ক্ষুদ্র গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর বিষয় থেকে মুক্তি দেয় গাঁজা। দেহের প্রদাহ বিনাশ করে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক রোগ উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৫. কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়, ক্রোন বা আলসারেটিভ কলিটিসের মতো প্রদাহপূর্ণ পেটের অসুখে গাঁজা উপকারী। তবে আরো বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়, গাঁজা এতে কাজ করে না। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় ক্রনিক ক্রোনের ক্ষেত্রে এক দল রোগীকে গাঁজা ও অন্য একটি দলকে প্লেসবো দেওয়া হয়। প্রথম দলটি দারুণ উপকৃত হয়।
৬. ছোটকালে যাদের মৃগীরোগ দেখা দেয় তাদের জন্যে বহুল ব্যবহৃত ওষুধটি হলো এপিডিওলেক্স। এতে আছে ক্যানাবিডিওল যা গাঁজা থেকে সংগৃহিত হয়। এটা আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রথম ওষুধ।
৭. সেরেবেলাম এবং বাসাল গ্যাংলিয়া মস্তিষ্কের দুটি অংশ যা দেহের ভারসাম্য রক্ষা, সমন্বয় সাধন, প্রতিক্রিয়া এবং অঙ্গবিন্যাসের ক্ষেত্রে কাজ করে।
৮. গাঁজার একটি বিশেষ প্রভাব হলো, সময় খুব দ্রুত বয়ে যায় বা সময় কাটতেই চায় না এমন অনুভূতি হওয়া। ২০১২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, গাঁজা সেবনকারীরা ৭০ শতাংশ সময় সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। ১৯৯৮ সালের আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, গাঁজা মস্তিষ্কের সেরেবেলাম অংশে রক্ত চলাচলে প্রভাববিস্তার করে। এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে, এতে সময়জ্ঞান কাজ করে না।
৯. গাঁজা দেহের রক্তনালীকে প্রসারিত করে। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। এ সময় চোখ দুটো লাল হয়ে যায়।
১০. যারা মাঝে মাঝে বা সব সময় গাঁজা খেয়ে থাকেন, তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। গাঁজা মস্তিষ্কের এমন একটি অংশকে প্রভাবিত করে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য দেওয়া হয়।
১১. মস্তিষ্কে যে প্রক্রিয়ায় স্মৃতিশক্তি সঞ্চয় করে, তাতে বাঁধ সাধে গাঁজা। বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়, স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয় গাঁজা। তবে অনেকের মতে, এর সঙ্গে গাঁজার কোনো সম্পর্ক নেই।
১২. বৈজ্ঞানীক গবেষণায় বলা হয়নি যে, গাঁজা বিষণ্নতা আনে বা বিষণ্ন মানুষ গাঁজায় আসক্ত হয়। তবে নেদারল্যান্ডসের এক গবেষণায় বলা হয়, যারা বিষণ্নতায় ভোগেন, গাঁজা তাদের এ সমস্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
আমরা এবার জেনে নিবো চিকিৎসা ক্ষেত্রে কি কি রোগের ঔষধ হিসেবে গাঁজা’কে ব্যবহার করা হয়-
মৃগীরোগ কমায়: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, মারিজুয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স-এ ছাপাও হয়েছে তাদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব।
গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়। গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে।
আলৎসহাইমার শত্রু: দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিজুয়ানা মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে। আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে মারিজুয়ানা। তবে মারিজুয়ানা ‘ওষুধ’ হলেই রোগ সারাবে, কারো নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির পণ্য হলে নয়।
ক্যানসার প্রতিরোধ: এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার করেছে। ২০১৫ সালে সে দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওযেবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়, মারিজুয়ানা অনেক ক্ষেত্রে টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকেরও ভূমিকা পালন করে।
কেমোথেরাপির ক্ষতি কম: ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে, মারিজুয়ানা ক্যানসার রোগীর রোগযন্ত্রণা অন্যভাবেও কমায়। ক্যানসার রোগীকে এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি নিতে হয়। কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। মারিজুয়ানা কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অনেক ক্ষতি লাঘব করে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: এটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকদের উদ্ভাবন। তারা গবেষণা করে দেখেছেন, মারিজুয়ানা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
মাল্টিপল সক্লেরোসিসবিরোধী: মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘মাল্টিপল সক্লেরোসিস’ বা এমএস নামের এক ধরণের স্নায়ুরোগ হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মারিজুয়ানা সেবন করলে এই রোগের ঝুঁকিও কমে।
ব্যথা নিরোধ: ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলছেন, ক্যানাবিস সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম।
হেপাটাইটিস’সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়: হেপাটাইটিস সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমায় মারিজুয়ানা। নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধের মতো গাঁজা সেবন করিয়ে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮৬ ভাগেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কমেছে।
এবার আমরা জেনে নিবো মদ (Wine) কি?
মদ বা এলকোহলযুক্ত পানীয় ধরনের পানীয় যাতে ইথাইল অ্যালকোহল (ইথানল) থাকে। ইথানল একটি স্নায়ু সংবেদনশীলতা অবদমক। এটি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলে মনে উৎফুল্ল ভাব সৃষ্টি হয়, দুঃশ্চিন্তা কমে যায় এবং সামাজিকভাবে মেলামেশা করার ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কেউ যদি মদ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করে তাহলে তার নেশা হয়, মোহ বা মৌজ বা ঢুলুঢুলু ভাব ধরে এবং জ্ঞানও হারাতে পারে। বহুদিন ধরে মদপান করলে মদের অপব্যবহার ঘটে, শারীরিক নির্ভরশীলতা ও মদ্যপানে আসক্তি সৃষ্টি হয়।
অনেক সংস্কৃতিতে মদ্যপান গুরুত্বপূর্ব সামাজিক ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ দেশে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং পান নিয়ন্ত্রণকারী আইন ও বিধিমালা আছে। কিছু দেশে মদ্যপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলেই মদ্যপান আইনসিদ্ধ। ২০১৪ সালে বিশ্বে মদ্য উৎপাদন ব্যবসায় অর্থের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশেও মদ ব্যবসা ও সেবনকারীদের থেকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়।
মদের মত যদি গাঁজাকেও বৈধ করে দেয়া হয় তাহলে যেকোন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে। গাঁজাকে কেন্দ্র করে উৎপাদন, বণ্টন ও পরিবেশনের কাজে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ডাক্তারগণ উক্ত জটিল রোগের জন্য গাঁজাকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য তা প্রেসক্রিপশনে লিখতে পারবে ফলে রোগীরা আরামবোধ করবে।
সরকার কর্তৃক গাঁজা সেবন বৈধ হলে-
গাঁজা সেবককারির জন্য সরকার নির্ধারিত নিদিষ্ট ফ্রি দিয়ে কার্ড নিতে হবে। বারের মত নিদিষ্ট স্থানে গাঁজা সেবন ও সংগ্রহ করা যাবে।
আঠারো বছরের নিচে কেউ গাঁজা সেবন করতে পারবে না। যদি ডাক্তার কোন রোগের জন্য ঔষধ হিসেবে প্রেসক্রিপশনে লিখে দেয় তাহলে যেকোন বয়সের লোকই পরিমাণ মত গাঁজা সেবন করতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, ১৮৬১ সালের বৃটিশ পাকিস্তানি আইন দিয়ে যেমন দেশ পরিচালিত হচ্ছে, তেমনি আমাদের মন মানসিকতাও ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারণার। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্বাধীনদেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন ও একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য যোগপযোগী শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না।
মানুষ হবে মানুষের জন্য ভাববে। মানুষ প্রাণ খুলে হাসবে। উদার চিত্তে সবাই সবাইকে ভালোবাসবে। তাহলেই মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা একধাপ এগিয়ে যাবে।
এসো বন্ধু,
প্রাণ খুলে হাসি
এক সাথে বাঁচি।।
সাইফুল বিন হানিফ
বাঙ্গালি কবি, প্রাবন্ধিক ও কণ্ঠশিল্পী। জন্ম ১৯৯০ সালের জুন মাসে শুক্রবারে। শৈশবে বেড়ে উঠেছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার থোড়া গ্রামে। রাষ্ট্রনীতিক সচেতন হলেও দলীয় রাষ্ট্রনীতিতে তিনি সম্পৃক্ত নন। তিনি দাদাইজম ও মার্ক্সবাদের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। তাই অনেকে তাঁকে দাদাভাই বলে ডেকে থাকেন। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ও পোর্টালে তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ‘মিউজিক থেরাপি এন্ড মাইন্ড ডেভেলপমেন্ট’ নিয়ে গবেষণা করছেন।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত ছোট পত্রিকা ‘কবিতা’অলা’র সম্পাদক এবং অন্তর্ধবনি সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি’র দায়িত্বে আছেন। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালিদের বৃহৎ প্লাটফর্ম ‘সাউথ এশিয়ান ফোরাম’ এর বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি স্বপ্ন দেখেন ও অন্যকে দেখান। তাই তাঁর লেখায় প্রকাশ পায় সমাজ সচেতন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারণা। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
সাইফুল বিন হানিফ
বাঙ্গালি কবি, প্রাবন্ধিক ও কণ্ঠশিল্পী। জন্ম ১৯৯০ সালের জুন মাসে শুক্রবারে। শৈশবে বেড়ে উঠেছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার থোড়া গ্রামে। রাষ্ট্রনীতিক সচেতন হলেও দলীয় রাষ্ট্রনীতিতে তিনি সম্পৃক্ত নন। তিনি দাদাইজম ও মার্ক্সবাদের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। তাই অনেকে তাঁকে দাদাভাই বলে ডেকে থাকেন। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ও পোর্টালে তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ‘মিউজিক থেরাপি এন্ড মাইন্ড ডেভেলপমেন্ট’ নিয়ে গবেষণা করছেন।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত ছোট পত্রিকা ‘কবিতা’অলা’র সম্পাদক এবং অন্তর্ধবনি সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি’র দায়িত্বে আছেন। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালিদের বৃহৎ প্লাটফর্ম ‘সাউথ এশিয়ান ফোরাম’ এর বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি স্বপ্ন দেখেন ও অন্যকে দেখান। তাই তাঁর লেখায় প্রকাশ পায় সমাজ সচেতন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারণা। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।