রুদ্ধ
যত এগিয়েছি তোমার দিকে,
আলপথ বেয়ে কুটিল, নিদানখেকো
হিলহিলে চেরা জিভের দল
পেঁচিয়ে ধরেছে
প্লেটোনিক বাতিক,
উন্মত্ততায় নাগাড়ে
আউড়ে যাও
আকরিক আখর।
মাঝরাতে ঘুণ পোকা কর্কর্কর্
গ্যালাক্সিচারি হতে
চেয়ে ঘুরে দেখি,
ফেলে আসা সময়যান;
উল্টো জামার
প্রকট সেলাই উৎকট,
তবু সোজা করা যায় না।
আ-শ্লেষ
বিশ্বাস করো,
হেরে যেতে কোনো কষ্ট
পাবো না
তবু ছায়াযুদ্ধে নামতে
চাই,
দুই গলিত ধাতু মিশে
যেতে যেতে
কতো সহস্র গ্রহ উপহার
দেয়,
চেখে দেখার লোভ আমার
চিরন্তন,
জমিয়ে চুমুক দেবো
তোমার ভ্যাবাচ্যাকায়;
এখনো ভেবে চলেছ,
প্রেম কখন রণদামামা
বাজালো!
অবলুপ্ত
একটা আকাশ নিঃশব্দে
ভাঙলে
পাতাল প্রবেশ হয়
সমুদ্র মানবীর
ঝরে পড়ে ফ্যাকাসে
তুষারগন্ধ
পলাশ মুখরতায়, যুক্তিহীন ...
নীল খাম,
তুই থাক নাহয় নীরব
ঝড় থেমে গেলে
তলিয়ে যাস
সন্ধান চাই কলামে...।
প্রথাগত
মন্দিরে মৃতদেহ ঢুকবে
না,
সামনে দিয়ে পেরিয়ে
গেছে
ফুল, মালা, ধূপের ধোঁয়া।
ঠাকুরের ব্যক্তিগত
বারান্দায়
নিঃসাড়ে ভেজা পায়ের
পাতা
শেষ ফেলা নিঃশ্বাস
পঞ্চপ্রদীপে
ধুয়ো তুলেছে, দুঃখ পেয়ো না।
বোঝা গেছে, বিগ্রহের হাসিতে
বৃষ্টি ভিজলে চোখে
আসা খুন
পর্দা সরিয়ে সাহসী
ছুঁয়ে দেয়।
সন্ধ্যাপ্লাবন প্রতি
ঘাসে, কাঁকরে
লেডিস ছাতা হাই হিলের
আদরে,
জানো, জানো মানুষ, তুমি জানো
আলাদা, একা... একা একেবারে।