সূচিতা নামের মেয়েটি ।। রুখসানা কাজল


 






ঘেমে নেয়ে ফুল স্পীড ফ্যানের নীচে শাড়ি খুলে সবে দাঁড়িয়েছে সূচি  এই  সময়  মোবাইল বেজে উঠল। ইচ্ছা করে না ধরতে। বাজছে বাজুক গে। ৪২ ডিগ্রী তাতানো গরমে আলুসিদ্ধ হয়ে কারো সাথে কথা বলতে এখন ভাল লাগছে না। ঘাম চপচপে পোশাক খুলে উদোম হয়ে বাতাস খায় সূচি। মুখ জ্বলে যাচ্ছে গরমে। বেসিনের জলও তপ্ত উষ্ণ। মুখ  ধুয়ে একটুও আরাম লাগছে না । ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে মুখে ঘষতেই তরতর করে গলে যাচ্ছে কিউবগুলো। আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় সূচি । ওর কালো মুখ রৌদ্রদগ্ধ মাটির মত শুষে নিচ্ছে বরফজল। মনে মনে ভাবে আহ্‌ এক টুকরো বড় বরফের  চাঁই পেলে তার উপর বিছানা করে আরামসে শুয়ে পড়া যেত!        
       
অফিস থেকে ফেরার পথে বাসটাকে মনে হচ্ছিল চলন্ত এক আগুন গাড়ি। জানালা  খুলে রাখলে খা খা তপ্ত হলকা ছুটে এসে পুড়িয়ে দেয় শরীর। আবার বন্ধ করে দিলেই শ্বাসকষ্ট হয় বহতা বাতাসের অভাবে। বাসে থাকতেই ঘেমে ফুলে গেছে দুই উরুর মাংস। ঘষা লেগে  জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে দগদগে জায়গাগুলো । বরফের কিউব ঠেসে ঠেসে ধরে ফোলা মাংসের উপর। বেশ ঠাণ্ডা আর জ্বলুনি কমে আরাম আমেজ লাগছে। সমস্ত শরীরে যতটা পারে বরফ ঘষে নেয় সূচি । কাল আবার বেরুতে হবে। এই মুহূর্তে কিছুতেই অসুস্থ হলে চলবে না । টুপটুপ বরফ গলা জল গড়িয়ে পড়ছে । ভারী নোয়ানো স্তন বেয়ে নীচে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা স্পর্শ। মন্দ লাগছে না ভিজতে।  নিমিষে মনে পড়ে যায় ভারতের খরা পীড়িত অঞ্চলের একটি দৃশ্য। প্রায় ষাট ফুট পাথুরে খাদ বেয়ে নিচে নেমে এসেছে এক মহিলা । সেঁচে সেঁচে জল ভরছে কলসে । সিনেমা নয় বাস্তব। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কে কবে হারাতে পেরেছে নারীদের?
       
কে ভেবেছিল সূচিও পারবে? সবাই ভেবেছিল ফিরে আসবে মাথা নিচু করে। নিজের  ভুল বুঝে অনুতপ্ত হবে। ঠোঁটের কোণে ক্রুর হাসি খেলে যায় সূচির। কেউ বোঝেনি  সূচি আর ফিরবে না বলেই সংসার ছেড়েছে। এত এক দুদিনের রাগ নয়। দীর্ঘ কুড়ি বছরের রাগ জমে সাহসী করে তুলেছিল সূচিকে। অনেক মহত্ত্ব দেখিয়েছে ও। আর নয়। তাই প্রতিটি নিঃশ্বাসে সূচি অনুভব করে জল সিঞ্চিত অই অচেনা নারীর অনন্ত শক্তিকে। সাহসী মনকে। কার জন্যে অমন অসম সাহসী হয়েছিল  নারীটি ? সংসার সন্তানের জন্যেই তো ! সূচি কি সেভাবে নিজেকে উজাড় করে দেয়নি সংসার সন্তানের মঙ্গল চেয়ে ? দু হাত ভরে নিয়েছে সবাই। দেওয়ার বেলায় এক আঁজলা সাহায্য করেনি কেউ। সূচি যখন জানালো সে সংসারে ক্লান্ত বিরক্ত অসহ্য হয়ে গেছে। মুক্তি চায় সংসার নামের এই অমোঘ খাঁচা থেকে। নিজের ভাই বোনেরাই রে রে করে ছুটে এসে ক্ষেপে বলেছিল, এ কি স্বেচ্ছাচারিতা! আর এ বয়সে এসব কি ? ছোটবোনটি যখন শ্লেষ ছড়িয়ে বলে উঠেছিল সব ফেসবুকের ঢঙ!  নিজেকে  আর সামলে রাখতে পারেনি সূচি । ফেসবুক ওর জন্যে একটি আয়না। সারাজীবনে সামান্যতম প্রশংসা কি পেয়েছে সে কারো কাছ থেকে? একটুকু উৎসাহ, বেঁচে থাকার জন্যে নূন্যতম  শুভেচ্ছা, একমুঠো অনুপ্রেরণা ? ওর ফেসবুকের বন্ধুরা সব সময়  প্রশংসা করছে। নিজের ছেলের চাইতে বয়সে ছোটরা ক্রাশ খায়, কতজনের কত  স্তুতি, তোমার দাঁত সুন্দর, চোখে যেন বুদ্ধিমত্তার মরুঝড়, তুমি সরস্বতী বিদ্যারুপিণী। কেউ ত জানেনা ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিয়ের আঘাতে  ইশকুল ফাইন্যালেই শেষ হয়ে গেছে! নিজেকে ও গড়ে নিয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত লেখকদের বই পড়ে পড়ে! তাই এই ভার্চুয়াল জগত নিয়ে বেশ আছে । আরদ্ধ জ্ঞান দিয়ে যাচাই করে দেখেছে রক্তের সম্পর্কের মানুষরাই খোঁচর হয় সবচে বেশি।        
       
ঘামে ভেজা কাপড় সার্ফ এক্সেলে চুবিয়ে নিবিড় ঘন শাওয়ার নেয় সূচি। তার একলা বাসার একলা শান্তিতে এখন আর কোন বাঁধা নেই। আগের জীবনটা যেন ছিল লড়াই লড়াই লড়াই চাই গোছের । একেকটি একঘেয়ে দিন কিছুতেই কাটতে  চাইত না। বরফ নদীর মত খড়মড় করে স্লো মোশনে এগিয়ে যেত। ঘেন্না জমে গেছিল নিজের উপর। মাঝে মাঝে বুকের উপর থেকে আজাদের ভারী শরীরটাকে ঠেলে ফেলে হিসহিস করে উঠত, ভাল্লাগে না। সরো ত। প্রথম প্রথম আজাদ অবাক হত। শেষে রাগ, ঝগড়া, চড় থাপ্পড় মারামারির সাথে মধুর বচন। অশ্লীল শব্দের  প্রতি এমনিতেই আজাদের দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল। চরম রোমান্টিক মুহূর্তে সূচিকে ইনসিস্ট করত আজাদ ভালগার ডায়ালগ দিতে। যাতে ওর স্খলন আরামের হয়। অথচ সূচিকে কখনো জিগ্যেস করত না, হ্যাপি?বরং ঝগড়ার সময় আজাদের মুখ হয়ে উঠত তাজা কাঁচা নর্দমার মত। যৌন উদ্দীপক বাক্য বলে আঘাত করতে খুব ভালবাসত আজাদ। শেষে সূচিই জানিয়েছিল সে সেপারেট হতে চায়। ক্ষেপে গেছিল আজাদ। কিছুতেই মানানো যায় নি সূচিকে।  বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শুধু বলেছিল, অফকোর্স ইউ হ্যাভ দ্য রাইট টু লিভ লাইক ইউ। আই অ্যাম উইথ ইউ রিগার্ডস । পা, লেট হার গো। আজাদ চিৎকার করে বলেছিল, কি বলছিস তুই আমান! লোকে কি বলবে? আমান দাঁতে দাঁত  কেটে অদ্ভুত হেসে বলেছিল, তুমি নতুন করে ভেবে দেখ পা। মা ত কখনোই হ্যাপি ছিল না আমাদের নিয়ে। মুক্তি চাইছে দিয়ে দাও। পৃথিবী কেমন ঘুরে দেখুক, তখন বুঝবে! মেয়ে ঘৃণায় কথা বলেনি সূচির বেরিয়ে আসার সময়।      
       
ছেলের সাথে কথা হয় মাঝে মধ্যে । দেখা হয় কদাচিৎ । টাক পড়ে  বিশ্রী চেহারা হয়েছে ছেলের। একেবারে আজাদের ক্লোন। সূচি পারতপক্ষে পরিচয় দেয়  না। কেন যে ছেলেমেয়েদের মনের সাথে ওর মনের তার বাঁধা পড়ল না কে জানে! নিজের চারপাশে সূর্যের মত ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছে সূচি। অনেকটা দেবদেবীর ছবির মাথার কাছে যেমন  জ্যোতি বলয় থাকে সেরকম। খুব একটা বাইরে যায় না। গেলেও কচি কচি  ছেলেমেয়েদের সাথে ঘুরে আসে লালনের আখড়া, রবীন্দ্র কুঠি, কুয়াকাটা, সিলেটের গহীন বন, হাওর-বাওর, বিল ঝিল। সূচি এক এবং অদ্বিতীয়। সেখানে এরকম বয়স্ক, হিসাবি ছেলেমেয়ে অনাহূত। ছেলেকে এখন ভাল করে দেখতে পায় রুমকি। ছেলেও এক পুরুষ মাত্র। এমনিতে শান্ত, স্বল্পভাষী । কিন্তু এই শান্ত চেহারার বাইরে ছেলের অসম্ভব এরোগ্যান্ট চেহারা দেখে নিয়েছে সে। মা হিসেবে সূচিকে কিছুতেই পছন্দ করে না ওরা। অলরেডি দুটি মেয়েকে প্রতারিত করে তিন নম্বরের বোকাসোকা মেয়েটিকে বিয়ে করেছে ছেলে। দারুণ টাইট দিয়ে রাখে বউকে। আর মেয়ে বিয়ে করেছে ক্লাসমেটকে। ভেবেছিল বন্ধু যখন তখন সংসার সমুদ্রে সহযোদ্ধা সহকর্মী হবে স্বামী। সে বন্ধু এখন কেবল ই স্বামী। সত্যি  পুরুষরা আর মানুষ হল না! জন্মেই পুরুষ। সূচির এক নানী বলত, ওরে মদ্দারা মুতলেও উপর দিকে মুত যায়, তোগের যায় নিচে। তোরা কেমনে পারবি ওগের সাথে?” সূচি ভাবে নানী বেঁচে থাকলে দেখিয়ে দিত, পারে পারে মেয়েরাও পারে। দ্যাখেন নানী আমার মুতের নীচে কত তৃষ্ণার্ত পুরুষ!”    
       
লোশন মাখতে মাখতে মোবাইল দেখে । নাইমের ফোন। পাঁচ পাঁচটা মিসকল । অফিসে দেখা হয়েছে আবার ফোন কেন? নাইমকে সহ্য করা কঠিন । ওর  অই ফ্যাসফেসে গলা শুনলেই মেজাজ খচে যায়। তবু হাতে রেখে চলে। “কি ওস্তাদ  ফোন দিছিলা ক্যান ?” ক্ষেপে উঠে নাইম, এতক্ষণে – আচ্ছা তুমি কি মানুষ ?”   – না আমি ভুত! শুষ্ক তপ্ত গ্রীষ্ম ভুত!” কলকল করে হেসে উঠে সূচি। --তোমার সাথে এখন বালের কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। শোন কালকের অনুষ্ঠানের বসের স্পীচটা তুমি লেখবা। লাঞ্চের  আগে রেডি চাই।”- ইল্লিরে ধর তক্তা মার পেরেক তাই না ! ডার্লিং এটা ত তোমার বান্ধা কাম। আমারে সটাত দিয়া দিলা যে ?”—নাসরিনকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাইতে হইব দোস্ত। ভাল করে লেইখো কিন্তু। বস্‌ খুশি হইলে তুমি ত চাঙ্গে উঠবা!”- “ছোঃ কি তোমার বস্‌। ভিলেন টাইপ বদনখানি । আচ্ছা রোজ শুনি তোমার বউ অসুস্থ। তা ওর লগে শোও ক্যামনে দোস্ত ?  রাইতের কামকাজ কেমতে চালাও কও ত শুনি ?”  
     
তাৎক্ষণিক স্পিচলেস হয়ে যায় নাইম। আর কেউ না জানুক নাইম জানে সূচি আশরাফ আলির বয়েস প্রায় ষাট। অত্যন্ত সুগঠিত শরীর। দেখলে চল্লিশ লাগে। ওদের ব্যক্তিমালিকানাধীন অফিসে কাজ পেয়েছে বিশিষ্ট একজনের বিশেষ অনুরোধে। খুব ভাল লেখার হাত। আত্মভোরি, অহংকারী আর প্রচুর মিথ্যে কথার খলনারী এই মহিলা । অসম্ভব যৌনতাড়িত। স্বেচ্ছাচারী। নাইমের সাথে দু একটি সম্ভোগমথিত স্মৃতি রয়েছে। কামলীলায় যৌনকর্মীদেরও হার মানায়। বিশেষ মুহূর্তে অস্বাভাবিক আচরণ করে। নেকু নেকু খুকি সেজে আদর চেয়ে নেয়। অফিসের নিচে সেদিন একজন বয়স্ক চাপ দাঁড়ি লোকের সাথে উত্তেজিতভাবে কি কথা যেন বলছিল। নাইম এগিয়ে যেতে বিব্রত মুখে চলে যেতে বলে বয়স্ক লোকটিকে। নাইম জানতে চেয়েছিল, এনিথিং রং বেবস?-নাথিং, অল ইজ ওয়েল বেবি! সেদিন সারাদিন খুব মজারু মুডে ছিল সূচি। ঢালাও চা মুড়ি চানাচুর খাইয়েছিল সবাইকে। এমনিতে পয়সা খর্চা করে না। অল্প বয়সের বিধবা বলে ছাড় দেয় সবাই। কিন্তু নাইম জেনে গেছে অনেক কিছু। সূচি মোটেই বিধবা নয়। আর অই চাপদাড়ি সূচির ছেলে। স্বেচ্ছায় ঘর ছেলেমেয়ে ছেড়ে মুক্ত নারীর মুক্ত জীবন বোধে বিশ্বাসী সূচি। নাইম জানে ভেতরে ভেতরে ওকে দেখতে পারে না সূচি । কিন্তু ইগনোর করারও সাহস রাখে না। অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সাথে নাইম জবাব দেয়, আরে সেজন্যেই তো তোর মত বুড়িদের পাইপ লাইনে রাখছি। স্পীচটা লেইখে ফেলিস। রাখলাম।”  
       
সূচির সমস্ত শরীর রি রি করে উঠে। শুয়োরের বাচ্চা নাইম। কোথায় থাকে নাসরিন যখন ঠা ঠা দুপুরে অং বং লেখা মহিলাদের গা শুঁকে টাকা নিস তাদের লেখা ছাপাবি বলে ? সূচি আশরাফ আলি লিখতে জানে। আর এই জীবন? কেন কত পুরুষই ত সংসারের মাঝপথে এসে পীর আউলিয়া দরবেশ ফকির ঋষি সন্ন্যাসি হয়ে গেছে । তারা পুরুষ বলেই নমস্য তাই কি না ! কোন নারী সংসার ত্যাগ করলেই ছিছিক্কার। তাদের ভাল লাগা না লাগা নেই বুঝি !দুধের শিশু রেখে রাজকুমার গৌতম রাতদুপুরে ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল । কেননা ত্যাগ তাকে ডেকেছিল । তিনি ঋষি হয়েছিলেন। যদি গৌতমের স্ত্রী ওরকম বেরিয়ে যেত ! রাজা শূলে  চড়াতেন পুত্রবধূকে কিম্বা নির্বাসন। প্রজারা ছয়মাস স্বস্তি স্বস্ত্যয়ন করত রাজ্য থেকে অশুচি তাড়াতে। অফিসে প্রায়ই নারীদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে । সূচি প্রতিবাদ করলেই শুয়োরমুখো বস হেসে বলে, ক্ষেপো ক্যান সূচিতা। আচ্ছা তুমিই কও তো আজ পর্যন্ত কোন মহিলা নবী আইছে পৃথিবীতে? ক্যান আল্লাহ নারীদের নবী বানায়নি এর জবাব কি জানো তুমি?” সূচি হেসে হেসেই বলে, কিযে বলেন ইলিয়াসভাই। ধর্ম  তো আপনাগো হাতের নকশা। আমরা হলাম গে আপনাগো টেপা পুতুল।” “এই এই- এইটা  যদি  মাইন্যা চলো তো সোনা দানা ভাত কাপড়ের অভাব হইব না কুনো কালে। খাইবা দাইবা বিছানায় লাট হইয়া শুইয়া স্বামীর খেদমত কইরবা। জেবনে আর কি চাওনের আছে কও তুমি!” চওড়া কলারের ভেতরে খাটো ঘাড়ের বসকে নোংরাঘাঁটা কচ্ছপ কচ্ছপ লাগে। কথা বাড়ায় না সূচি। এরা আবার প্রগতিশীল! নারী  মুক্তির মিছিলে হাঁটে!
       
দেয়ালে ছায়া পড়েছে । চমকে উঠে দেখে সে ছায়া সূচির নিজের। সমস্ত   অপমানকে মুছে ফেলে সূচি ভাবে বসের বক্তৃতা সে নাইমের চাইতেও ভাল লিখবে। জীবনের চেনা গলি দিয়েই হাঁটতে হবে একথা সে মানে না। গলি ভেঙ্গে তস্য গলি বানানোর সাহস তার আছে । যে যা খুশি ভাবে ভাবুক বলে বলুক ! তার জীবন  শুধু তার।  সে কোন মুনি ঋষি নবী বা সন্ন্যাসি নয়। সে মানুষ। স্তন উরু যোনি থাকলেই গলায় বকলস পরে খোঁয়াড়ে থাকতে হবে এই তত্ত্ব সে মানে না।
         
দু ফোটা তপ্ত চোখের জল মুছে কি বোর্ডে আঙ্গুল রাখে সূচি! নিজের অস্তিত্বের জমিকে আরো দৃঢ় মজবুত করতে লড়ে যাবে সূচি।

SHARE THIS

Author: