ও মৃত্তিকা, ও বৃষ্টি ।। শেলী নাজ











অগ্নিলীন এই দেহ খেয়ো তুমি, ও মৃত্তিকা, অস্থিমজ্জাসহ
পুরুষের তাজা শেলে শত ছিদ্র ওড়নার নিচে
তুমি জানো উদয়াস্তের না দেখানো দাবদাহ
নিয়ো এই মণিহারা মন, খেয়ো তার অস্থির জ্বলন
যারা গলেছিল মুহূর্তের আণবিকে, নিয়ো সে প্রবাহ

পচে যাক দ্বীপ পুঞ্জ, নীপ শাখা থেকে বিচ্যুত ধুলায়
পতিত শরীর নিয়ো তুমি, ও মৃত্তিকা এ ভরা বর্ষায়
নেয় নি পবিত্র মঠ এই দেহ ঘট, এমন কুসুম্ভা-
প্রেমের পুরুত, তার পদপ্রান্তে কুণ্ডলী পাকানো এ দেহমণ্ডপ
লবণ মাখানো ক্ষত,  চুইয়ে পড়ছে রক্তাভ নিষঙ্গ
পাপিষ্ঠ এ মাংস, সহস্র সাহারা ঘেরা, আত্ম মরীচিকা ময়
খেয়ো তার কান্না ভরা ক্লেদ, অভিমান, কামনা ও ঘৃণা,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেগে ওঠা পরাজিত পারিজাত ও প্রণয়

ক্ষুধার্ত আঙুল খেয়ো, স্পর্শহীনতার শোকে যারা
শূন্যতা খামচে ধরেছিল ডাইনির নখে, আর হাভাতে হৃদয়,
যার কোনো দিন আহার জোটে নি, খেয়ো তার বুভুক্ষু কঙ্কাল  
চোখ, যেখানে হিংসুক নদীগুলো ধোঁয়া আর বাষ্পময়
ও মাটি, খেয়ো গো শরীরের ক্ষুধা তার জখমের হ্রেষাধ্বনি,
সমস্ত ফাটল ভরে গেছে নপুংসকের লালায়, খেয়ো তার ভুল

তবু যদি এ বর্ষায় আমার মাংসের দামে পাই একখানি প্রেমের মুকুল!

SHARE THIS

Author: