ইশরাত তানিয়া এর যুগল কবিতা




জলভ্রম

অন্ধকার বলে- শোও, ঘুমিয়ে পড়ো। তাকে দেই নেশা নেশা অকর্ষিত ঘুম আর জলের পোশাক পরে হাঁটি। জলপরীরা দিয়ে গেছে টইটুম্বুর। পায়ের তলায় এক চিমটি পোষ-না-মানা মাটি। ওই তো বিষাদলীন জংশন। দুটি রেলপথের মিলন যে স্টেশনে। বদলে বদলে যায় সেখানে অনুবোধ। তার পাশে কী ভীষণ আখ ফলেছে। ঈশ্বরের মিষ্টি মিষ্টি মাঠে। শরের মতো গাছগুলো আকাশ বরাবর গেছে। গিটারের ছেঁড়া স্ট্রিং ছুঁড়ে দেই। নিকষ আঁধারের মুখ গহ্বরে। গিলে নেয় মেঘনার ঘূর্ণি অথবা সাহারা। গলায় বালি ঢুকে খক খক। পেটের জানালা গলে সুরেলা স্টাফ নোটেশান ওপারে ভেসে যায়। রূপের আভায় জোনাক ছড়ায় ড্যান্ডেলিয়ন ফায। আমি ডাকি- ধোঁয়াফুল। অপেক্ষার বোতাম খুলে দেই। ধুলো ঝড়ে উড়ে যাক নকল পোশাক। একটু পর বিশুদ্ধ বুনো হাওয়া। শান্ত থেকো। কে না জানে? একটু পরই আমাদের গভীর জলাশয়।

আকাশ ভেতরে বাইরে

চৌকো আকাশে অভ্যস্ত কেউ। জাদুর পাটি আকাশ মেলে দেয় কারণহীন। পাহাড় ছাড়িয়ে দূরে ফানুস ওড়ায়। অনেক উঁচুতে হৃদয় কাঁপানো কিছু বাতাস। তারপর জাদুর পাটি আকাশ গুটোয়। ছুটির ঘণ্টা। তামার পাতে ঢং ঢং। বাক্সবন্দী ফানুস, পাহাড়, হৃদয়শ্বাস। কাছিম খোলসে ছিমছাম ঘুমায়। মৌনী নিয়ে ক্রমশ চৌকো আকাশ আবার। এটা সত্য। আরো, আরো সত্য এই, আকাশ ভেতরে এলে লিলিপুট মরে যায়।

SHARE THIS

Author: