ঘরে ফিরা
এরুমভাবে কথা কয় না, আল্লাহপাক গুনা দেয়
হুনি থামি যায় কিশোর মন, ফ্যালফ্যাল চোখে
তাকাই দেহে, যদিও জানে না দেহনের মানে!
নিচের দিকে তাকাই থাকি, স্যাঁতস্যাঁতে মাডিও
কথা কয়, আমি বুঝি না কথার অক্ষরবিন্যাস।
ল্যাদা ছুটকিয়ার কান্দনের শব্দ, কারণ জানিনা।
বেগ্গুনের অলক্ষ্যে বাইর হই যাই ঘরেরতইন
এইটা এমন এক লুকুচুরি খেলা, নিজেরতইন
ফালাই বাঁচতে হয়। ফালাইতে ফালাইতে নিজেরে
খুব অফরাধী হিসেবে মনে হয়, অথচ জানিনা
এরুম ফলাতক জীবনের মূল ধারাফাত কোনাই।
ফিরি আসার ফত খোলা নাই, লুকাই থাকনের
তীব্র ইচ্ছারে ফালাই দিই মরা সিলোনিয়ার বুকে
ঘরে ফিরবার চাই, কিন্তু ফিরুম ক্যান? ফ্রশ্নের
দোলাচালে দুলতে থাকে দেয়াল ঘড়ির কাটা
আঁই সাতরঙা আকাশ দেহি, আকাশরে ফড়ি
দেহি ফুরো আসমানজুড়ে এক নিঃসঙ্গতার গল্ফ।
সন্ধ্যা নামে, রাইত হয়, আঁই আর ঘরে ফিরি না...
দর্শন
আচম্বিত রূঢ় বাস্তবের সামনে খাঁড়াইতে হয়।
ফকৃতির গতিবিধি বুঝি না, তাই ব্যকরণের
ভুলে বারবার হারাই ফেলি আফন ফথ
এরোই মাঝে বদলি যায় অনেক কথাবার্তা
ছ্যাবড়া খাওয়া একটা সকাল উঁকি মারে
দুয়ার খুলে চাই, চোহে কছুই ঠাহর হয় না
আগদুয়ার দি' চোখ দিই বাইন দুয়ারে,
দেহি রশি ঘরে - উনুন জ্বলে, আরও দেহি
মিঁয়া বাড়ীর ফুস্কুনির ঘের'র মাছ ধরা
ব্যাককিছু দেখি, তবুও কি জানি দেহি না...
আহা! সোনামুখ কতকাল দেহিনা তোমায়
কি আরো? কেমন কাডে তোমার দিনকাল?
খানিক বাদেই কামে যামু সদরে, কাম করনের
লাই করি, মন টা ফড়ি থাকে তোমার কাছে
বর্ষা শ্যাষেই ফিরুম, কিন্তু ওই বাস্তবিক রূঢ়...
হ্যার সামনে নিজেরে খুব অসহায় লাগে
চোহে ব্যাককিছুই দেহি, কি জানি দেহি না...
