অন্তর্বেদি
সবক'টি বৃক্ষের গায়ে,
আমি 'ঈশ্বর' লিখে দিয়ে চ'লে আসি;
তারপর, ছুটে যাই নদীর কাছে।
দেখি, এ- তো ঢেউ নয়, এ আমার
'বোনের' বেণী-খোলা চুল;
অতঃপর, চোখ রাখি ঘুড়ি ও নীলে;
পাখিদের ডানায় ডানায় খুঁজি
'মায়ের' আঁচল।
যখন কবিতাবার; কেউ নেই কাছে বা
দূরে---
তখন, প্রতিটি ফুলকে ভাবি 'তুমি'।
আমি 'ঈশ্বর' লিখে দিয়ে চ'লে আসি;
তারপর, ছুটে যাই নদীর কাছে।
দেখি, এ- তো ঢেউ নয়, এ আমার
'বোনের' বেণী-খোলা চুল;
অতঃপর, চোখ রাখি ঘুড়ি ও নীলে;
পাখিদের ডানায় ডানায় খুঁজি
'মায়ের' আঁচল।
যখন কবিতাবার; কেউ নেই কাছে বা
দূরে---
তখন, প্রতিটি ফুলকে ভাবি 'তুমি'।
পারতো চালাও গুলি
এখনো ট্রিগার তোমারই হাতে,
তর্জনীও তোমার দখলে---
পেতে আছি দণ্ডিত বুক;
পারতো চালাও গুলি---
তর্জনীও তোমার দখলে---
পেতে আছি দণ্ডিত বুক;
পারতো চালাও গুলি---
রাতের ট্রেনে ফেরার কথা ছিলো
নিয়তির...
বড় অদ্ভুত,আজব দুনিয়া এই...!
নিয়তির চৌকাঠ জুড়ে আজ
কেবলই সময়ের ব্যারিকেড!
নিয়তির সাথে খেলে নিয়তিই...
নিয়তির...
বড় অদ্ভুত,আজব দুনিয়া এই...!
নিয়তির চৌকাঠ জুড়ে আজ
কেবলই সময়ের ব্যারিকেড!
নিয়তির সাথে খেলে নিয়তিই...
পবিত্র উৎসবের পসরা সাজিয়ে বসেছে
হৃদগোবিন্দম---
অথচ চারদিকে আগুন আগুন!
ধ্বসে পড়ে স্মৃতির ইমারত;
চশমার শাদা কাচে ডুবে যায় দূর- চন্দ্রবিন্দু...
হৃদগোবিন্দম---
অথচ চারদিকে আগুন আগুন!
ধ্বসে পড়ে স্মৃতির ইমারত;
চশমার শাদা কাচে ডুবে যায় দূর- চন্দ্রবিন্দু...
পারো যদি--ঐ দুর্দান্ত চোখের
প্রতিশোধে জ্বালাও আমাকে;
দ্রোহের লেলিহান মন্ত্রে পুড়ুক পৃথিবী আমার...
প্রতিশোধে জ্বালাও আমাকে;
দ্রোহের লেলিহান মন্ত্রে পুড়ুক পৃথিবী আমার...
কেড়ে নিতে রোদের নির্যাস,
বহুবার সেজেছি মাতাল-বৈরি শীত;
ফার বৃক্ষের মতো বোকাজলে
বিকিয়ে দিয়েছি যতো পত্রঅর্ঘ।
বহুবার সেজেছি মাতাল-বৈরি শীত;
ফার বৃক্ষের মতো বোকাজলে
বিকিয়ে দিয়েছি যতো পত্রঅর্ঘ।
আমার গিয়েছে যা--
তা আমি নিয়তির কাছেই চেয়ে নেবো;
কই?তুমি তোমার কাজ সারো---
তর্জনীর টোকায় ছিদ্র করো এ বুকের জমিন---
তা আমি নিয়তির কাছেই চেয়ে নেবো;
কই?তুমি তোমার কাজ সারো---
তর্জনীর টোকায় ছিদ্র করো এ বুকের জমিন---
আমি বুক পেতে আছি;
পারতো চালাও গুলি...
পারতো চালাও গুলি...
কারফিউ
তার শান্ত বুকের 'পর
কারফিউ জারি সন্ধ্যায়;
কারফিউ জারি সন্ধ্যায়;
নাস্তির কালো রাত চাই---
চাই ভিনদেশী হাওয়ার
উতরোল ফণা-তন্দ্রায়;
চাই ভিনদেশী হাওয়ার
উতরোল ফণা-তন্দ্রায়;
বাণগ্রস্ত পাতার দোল
নির্ভুল ছায়া সাঁতরায়
কার রক্তনালীর স্রোত
রাঙায় মৌন অক্ষর!
নির্ভুল ছায়া সাঁতরায়
কার রক্তনালীর স্রোত
রাঙায় মৌন অক্ষর!
ল্যাম্পপোস্ট গিলে খায় কাল
জ্বলজ্বল দ্বাদশীর চাঁদ
এই শূন্য শহর--আহ্!
শিল্পের জ্বরে কাতরায়...
জ্বলজ্বল দ্বাদশীর চাঁদ
এই শূন্য শহর--আহ্!
শিল্পের জ্বরে কাতরায়...
কিংখাব নূপুরের ঝড়
লুটপাট করে দেয় প্রেম
শেষ জলছবি বদলায়
প্রস্তর-প্রাণে বারবার;
লুটপাট করে দেয় প্রেম
শেষ জলছবি বদলায়
প্রস্তর-প্রাণে বারবার;
আহ! শান্ত শহর এক
নাস্তির জলে ফের লাল
প্রস্তুত ঘাতকের বাণ
কারফিউ জারি--সন্ধ্যায়।
নাস্তির জলে ফের লাল
প্রস্তুত ঘাতকের বাণ
কারফিউ জারি--সন্ধ্যায়।
চুম্বন-চিতা
এতসব অচিন গ্রন্থ আর পাতার ফসিল
রেখে
শীতের দু'গালে চুমু খায় মোমের
শরীর---
দেখি,দিকভ্রষ্ট আঙুল কী-এক পরম হাসি
হেসে
শ্বাসের জীবনী থেকে তুলে নেয়
বায়ুর ওজন।
না অনড় কুয়াশা,না ত্রিতাল পৌষ,না
চূর্ণ সময়
প্রতিমা ব্যবচ্ছেদে কিছুই পড়েনা
কাটা বিভ্রমে...
রেখে
শীতের দু'গালে চুমু খায় মোমের
শরীর---
দেখি,দিকভ্রষ্ট আঙুল কী-এক পরম হাসি
হেসে
শ্বাসের জীবনী থেকে তুলে নেয়
বায়ুর ওজন।
না অনড় কুয়াশা,না ত্রিতাল পৌষ,না
চূর্ণ সময়
প্রতিমা ব্যবচ্ছেদে কিছুই পড়েনা
কাটা বিভ্রমে...
তবু টুকরো হাওয়ার বুক ক্ষত-বিক্ষত হয়
ধারালো ঠোঁটের বাণে;
চুমু যেন শুধুই চুমু নয়--এ যেন সাশ্রয়ে
কেনা মৃত্যু দংশন!
ধারালো ঠোঁটের বাণে;
চুমু যেন শুধুই চুমু নয়--এ যেন সাশ্রয়ে
কেনা মৃত্যু দংশন!
সে কবেকার ভ্রমণের স্মৃতি,কোথাও
কোথাও জুড়ে দে'য়া আজন্ম দাগ,
অসংখ্য শিশিরের গায়ে ঠুকে আসা
কথার পেরেক---
কিছু তার যায়নি মুছে;সবই আছে আগের
মতো--চুমুবিস্মৃত!
কোথাও জুড়ে দে'য়া আজন্ম দাগ,
অসংখ্য শিশিরের গায়ে ঠুকে আসা
কথার পেরেক---
কিছু তার যায়নি মুছে;সবই আছে আগের
মতো--চুমুবিস্মৃত!
ভুল চুম্বনে বহু আগ্নেয়গিরি দপ্ দপ্ জ্বলে
ওঠে ধমনী-শিরায়...
ওঠে ধমনী-শিরায়...
