সেনোরিতা
এখনো অনাবাদী কুয়াশার কাছে কিছু প্রাক্তন
স্মৃতি
জমা আছে।
গোলাপী শহরের
মৃত্যুমুখী রাস্তায়
যেসব অস্থির মিছিল;
তার সামনে রাখা আছে
প্রণয় সভ্যতার
সবচে' বিরহী ট্যাংক...
কিছু দণ্ডিত কথার কাছে
তুমি হেরে গিয়ে
তলিয়ে আছো--জল-ইতিহাসে।
ভুল ভায়োলিনে ডুবে
এখনো আমি
উত্তাল ঢেউয়ের তুফান গুনি
শামুকের সাথে।
জানো?
ট্রমা কিংবা মদে,ঘৃণার বারুদে
এই খোলাবুকের পাঁজর
আর কিছুতেই জ্বলেনা এখন।
এসব এলোমেলো সময়ের
মুখস্ত ফিরে আসা--
দেখতে দেখতে
আমি
কবিতা লিখি।
জানোতো---
অতৃপ্ত মানুষের কাছে
কখনো তুষ্ট নয় জারজ সমাজ।
ভালো আছি,সেনোরিতা---
ফাগুনের প্রথম হাওয়ায়,
অনাগত সুরে
দুলিনা এখন আর
আগের মতোন--
নিশ্বাসে বই কেবল
তুমুল আর্তনাদ...!
জল ইতিহাস
হিম-শীতের প্রাক্তন অনুভূতি
লেগে আছে বুক-খোলা নীল খামে।
বিলের বুকে শুয়ে গুনতাম অজস্র শামুকের ঝাঁক;
শামুক গুনতে গুনতে থমকে যেত অংকপাঠ।
কবেকার হলুদ ধান ও ফুলের পাপড়িতে
ছুঁয়ে নিতাম শৈশব আঙুল।
অথচ এই আঙুলে লেগে আছে আজ
কালো গোলাপের তীব্রঝাঁজ।
টংকাবতী নদীর কথা ভাবতে ভাবতে
ভ্রমণের পা চলে যেতো শশ্মানঘাটে।
পোড়া মানুষগুলোর অতীত অশ্রু গড়িয়ে পড়তো ক্লাসের
ব্ল্যাকবোর্ডে---
তাদের থামিয়ে দিতে গিয়ে আমি পুড়িয়েছি ঠোঁট...
কতবার ভুল ভ্রমণের পা চলে যেতো মিথ্যা হাটে।
যেখানে ডানাকাটা শিশু পাখিদের খাঁচায় করে আনা
হতো---
যদিও বকফুলের সুন্দর পাপড়িগুলো আমি কখনো পারিনি
দিতে তাদের।
বারবার দিয়েছি হিংস্র তলোয়ার ছোঁড়ে...।
দূরে আরো দূরে
কিছু গাছের ছায়াশরীর নজরে এলে
আমি তাদের বন্য হাতি ভেবে লুকিয়ে হাঁটতাম।
অথচ চিরকাল তারাই ছিলো একা পথের সাথী।
সে এক জল ইতিহাস—
শরীরবৃত্তান্ত
জল ডুবে যায় জলের ঘটে
জল ফুরিয়ে কাঁপন ছড়ায়;
এক গেলাসে ভাসি আমি
আপন পিয়াস আপন ঠোঁটে--
ঝরে বর্ষা ইথার-বিথার
কাঁপা গলায় প্রশ্ন বিঁধে;
জল ভূগোলের একোন নেশা
উষ্ণ বুকে পাহাড় কাটে!
ঘুরছে লাঠিম জীর্ণ দেহে
অন্ধঘরের শব্দ ভোলে;
ভরদুপুরে ক্লান্ত অসুখ
ছায়ার পিছু যাচ্ছে সরে--
ঈর্ষা কিছু সুখ বিছারে
অসুখ তবু হাতের রেখায়;
আগুন আগুন সুখের লতায়
পুড়ছেরে সুখ আগুন নেভা।