উপলব্ধি
জাতিগতভাবে আমাদের মৃত্যু হয়েছে অনেক দিন হলো
যারা এ কথা বিশ্বাস করছে না প্রকাণ্ড হাহাকার বুকে
তাদের জ্ঞান ফিরে আসছে মর্গে অতঃপর মৃত্যুবার্ষিকী'তে
সম্ভাবনার লাশ পাচার হয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের অগ্নিমুখে...
বিশ্বাস করুন, আপনার প্রথাবিরোধী আন্দোলন ,
সামাজিক অধঃপতন , সমাজ , সংসার , সন্ত্রাস
জনতার ঠেলাঠেলি'তে ইতিমধ্যেই লাইনচ্যুত হয়ে গেছে
অশান্তি পতনের নামে যে গঠনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান
তার'ও মৃত্যু হয়েছে গ্যাস চেম্বারে বহুকাল আগে
শেষ আশাবস্ত্রটুকু নিয়ে যার জিকির করছেন তিনিও
কাগজে কলমে আপনাকে নিঃস্ব করে দেবে।
স্বীকার করুন, আপনি আপনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে চান
না হলে টর্চার সেলে আপনার জবানবন্দী নেয়া হবে
রম্য আদালতে আপনার বিচার হবে প্রাণচিহ্নময় জনপদে
মৃতরা'ও জেনে যাবে আপনি ছিলেন খুনি, বিশ্বাসঘাতক এবং
সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব।
নিশ্চিত করুন আপনি মৃত এবং নিজস্ব তাগিদে নিজের
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান।
ধর্ম
প্রজাতিসত্ত্ব কফিনে পুরে
নিজের জন্য একটি শরণার্থী শিবির খুঁজছি।
যেখানে অভিবাসী ট্যাগ দিয়ে
কেউ আমাকে ঠেলে দেবে না মাঝ সমুদ্রে।
সেখানে আঁতুড়ঘরে আমার জন্ম হবে পুনঃ
আমার ডিএনএ আনা হবে মসজিদে মিলাদ পড়িয়ে
আমার পাকস্থলী'তে থাকবে দেবদেবীর মূর্তি
হৃদপিণ্ডের স্পন্দনে পাওয়া যাবে জিশুর স্তুতি
অতঃপর শান্তি শান্ত বলে আমি জন্মেই
সিদ্ধার্থের মতো ধ্যানে বসবো।
মৃত রাজনীতি
মৃতের পঁচন রোধে চলুন মুক ও বধিরের সাহায্য নেই
যেখানে আত্মধ্বংসকারী প্রতিটি মানুষ জন্মাবে
গন্ডারের চামড়া গায়ে এবং প্রজাতিতত্ত্ব বিচারে
বিবর্তিত হবে নিজস্ব প্রতিশোধ।
নিশ্চয়ই পৃথিবীর সব জন্মের দায় লালসার
যা প্রজাতি হতে প্রজন্মে আত্মতুষ্টি'র জন্য জন্মেছে
শ্রেণীবৈষম্য ও হীনমন্যতা কে পূঁজি করে আসুন
সত্য কে মানি, নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করে -
জীবিতদের কপালে সেঁটে দেই মৃত সাইনবোর্ড।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে
এখন একটি গ্রেফতার মানে বিভীষিকাময় টর্চার সেল
গভীর রাতে কালো সানগ্লাস চোখে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া
ক্রশফায়ার থেকে এনকাউন্টার স্বীকারোক্তি পাওয়া
এখন একটি গ্রেফতার মানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আছে
হাইকোর্ট থেকে সংসদভবন যাওয়ার রাস্তায় তো
প্রাগৈতিহাসিক জ্যাম লেগেই আছে। শুধু সাইডে
পড়ে প্রেসক্লাব যেটার রাস্তাও এখন বিক্রি হচ্ছে
পাইকারি দরে। দরে না পোষালে আছে বেধরক
লাঠিচার্জ বস্তুত সেটাও আইনশৃঙ্খলার কাতারে
নামাজ পড়ে! ধর্মের নামে - দেব-দেবীর নামে শান্ত
থাকুন, বিশ্বাস করুন মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন
দেশে কোন সন্ত্রাস নেই ,আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আছে
মৃত্যু বিনিময় প্রথা
যেহেতু মৃত্যু বিনিময় প্রথা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ,
যখন কফিনের দাম ধর্মঘটে বেড়েই যাচ্ছে এসো বরং খুন করি
শরণার্থী শিবিরে বোকাসংঘের ব্যানারে , গ্যাসচেম্বারে যুদ্ধ নামে
আমাদের লাশগুলো না হয় আবর্জনা হিসেবে ড্রেনে ভেসে যাক
এই পৃথিবীর আয়ু ফুঁড়িয়ে গেছে তাই যারা কারারক্ষীর মতো
এখনও এটাকে আগলে রেখেছে তারা নিঃসন্দেহে মৃত্যুদূত
উপরে তাকাও দেখো তোমাকে সর্বক্ষণ দেখছে স্যাটেলাইট
যে বুকে রেখেছ প্রেম সেখানে তাক করা আছে মিসাইল
পৃথিবীর সব সম্পর্ক কারেন্সি'র প্রভাবে পণ্য হয়ে গেছে
যেহেতু মৃত্যু বিনিময় প্রথা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এসো
মৃত্যুকে বিয়ে করে দু দণ্ড শান্তিতে সংসার করি ।