
"Out in the sky the great dark clouds
are massing;
I look far out into the pregnant night"
(-- by Paul Laurence Dunbar)
রাতকাহিনি
১.
এইসব বিচ্ছিরি রাত তোমার জরায়ু থেকে শুষে নেয়
গর্ভফুলের মধু।
২.
কতটুকু পারদ নিয়েছো তুলে বিষের পেয়ালায়?
দেখো-- রাত কেটে কেটে ঊর্ধ্বগামী যত বিষের
পারদ।
৩.
গুম হওয়া রাতের বুকে কে যেন গোপনে ঢুকিয়ে দিলো
কথার ভাইরাস।
রাত এখন কঙ্কালসার, মৃতপ্রায়।
আর তুমি, রাতঘাতী কথার আয়না।
৪
এ এমন এক বাল্মীক রাত, বাড়ায় হ্যালুসিনেশন!
ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুরতে ঘুরতে বারো শ' বছর
পিছিয়ে গেলো।
আর, তোমার আঙুল থেকে কী নিদারুণ ঝ'রে পড়ছে
আমার আয়ু!
টলছে পাহাড়, দুলছে সমুদ্র; পৃথিবী ক্রমশ তলিয়ে
যাচ্ছে রাতের দ্রাক্ষারসে...
দেবদাসী সেন
তোমাকে মুখস্থ করতে করতে কবেই পেরিয়ে গেছি
দ্রাঘিমার তিল। প্রমাণ সময় ভুলে কতবার ছুটে গেছি বুকের গহ্বরে; ফিরে এসে একাই আওড়ে
গেছি-- "তুমিও ফিরে আসো দেবদাসী সেন..."
প্রতিটি সন্ধ্যায় অন্তত একবার ফিরে যাই
পায়রাবন্দী খোপের কাছে; দেখি, দু'দিকেই খিল আঁটা--- কারা যেনো দরজায় লিখে দিয়ে
গেছে-- 'দেবদাসী বাড়ি নেই।'
পুরোনো সেলাইকলে ঢুকে পড়ে বাস্তুসাপ---
প্যাঁচিয়ে যায়, কাতরায়; তবু হাসতে হাসতে পরমমুদ্রায় নেচে ওঠে দর্জিঘর।
"দেবদাসী, তুমি কি ওখানে? তুমি কি কাঁদছো?"
এই বুঝি খুলে গেলো হাওয়ার আঁচল...!
খ'সে পড়ে দূরবর্তী নথ; লুটায় অমিত্রাক্ষর।
ছায়ার শরীর থেকে মুছে যায় কলঙ্কপুরাণ।
হাওয়া বলে: "এ পাড়ে কালিন্দী নাচে; ফিরিস
না, দেবদাসী; ফিরিস না আর।"
ছায়া বলে: "অক্ষরে অক্ষরে তুই একাই
ফিরিস, দেবদাসী; ফিরিস আবার।"
মহল (বহিঃপর্ব)
নকল সেলাই খুলে জাদুমহলের দিকে উড়ে যায়
কোমলগান্ধার...
ধুতুরার বিষ ঠোঁটে কোন্ এক হরিত প্রজাপতি
অনর্গল ঠুকে যায় মধুর বাকল।
যে ডানা পড়ে আছে গর্ভকেশরে, নাড়ছে পরাগরেণু--
তারচে' আরও দূরে-নিকেল দূরত্বে বয়ে যায় ভুল মিসিসিপি।
এ কথা নিদমহলের দিকে একা একা হেঁটে যায়
পুলসিরাতে;
মর্মর ধ্বনি তুলে পাতাসদৃশ ঝ'রে পড়ে
গার্হস্থ্যফুল।
অন্তঃশিলার বুকে যেটুকু দহন ছিলো, ছিলো
শুষ্কভার
ঐ বুকখোলা নদী এসে তারেও ভিজিয়ে দিলো,
বর্ণসমেত
যেন লীলার প্রসাদ ছুঁয়ে লীন হওয়া ঋতুবন
পাল্টালো হাওয়ার ভূগোল!
আর পরমাকাঠের গায়ে নিভৃতে সেঁটে থাকা কাল
কেঁদে গেলো শিসমহলে...
প্র্যাগমেটিজম
'মাউন্ট' শব্দটা শুনলেই ফাউন্টেনপেনের কথা মনে
পড়ে যায় বারবার। এদিকে, লোরকার কালি চুরির অপরাধে মহামান্য আদালত ঝুলিয়ে দিলো
সমরবাবুকে। আমার মস্তিষ্কে তখন অস্ত্রোভস্কির ইস্পাত, হাতে টয়েনবি। আর খোলা ছাদে
তাস পেটাচ্ছে বোকা চ্যাপলিন।
অ্যালেন পো কথা রাখেন নি, মমও না; কবিদের
চৌকাঠে এখন গল্পের প্রহরী! কুয়াশা ডিঙিয়ে ঘাটে নৌকো ভেড়ান ফিস্ট; কোথায় দেরিদা?
ফুঁকোর চুরুটে শেষটান দেয় মহামতি বাখতিন।