
এখন ভোরবেলা, গোপন রাত্রির অশ্রুভেজা হয়ে আকাশে উজ্জ্বল সুবেহ-সাদিকের তারাটা ভেসে আছে। এ পাড়া শুনশান, বেঘোর কুয়াশায় নদীর জলে ধোয়া বাতাস সমতলে নরম বিছানার সবুজ খেতগুলো পেরিয়ে চলে আসে। শূন্যে দুলে ওঠা গুল্ম-লতাগুলো মাড়িয়ে চলে আসে
ভোরের মসজিদ,
সীমানা ঘিরে রাখা আকাশমুখী, লাল-
মোরগফুলগুলো কাঁপিয়ে চলে যাবো,
আমিও চলে যাবো
কবরখানা দূরে,
পেকেছে আতাফল!
কবরফলকের কিনারা ঘেঁষে
একটুকরা আতরের শিশি ও গন্ধক।
শিশিরে লেপটানো সাপ আর মানুষের মাথার খুলি,
হাড় অন্ধকারে আর
আমাকে বেড় দিয়ে
কিয়ৎ কিমাকার শরীর শুয়ে আছে
বাতাস কথা বলে,
প্লাবিত কুয়াশায় পাথরখণ্ডে সে হঠাৎ উড়ে এসে
পাখির মতো বসে;
পালক ঝাড়ে আর
প্রতিশ্রুতি ভেঙে অর্ধতন্দ্রায় নদীও সরে যায়
সারাটা চরাচর এ ঘোর কুয়াশায়
কেমন উবু হয়ে তলিয়ে যেতে চায়,
বাতাসে নুয়ে প'ড়ে সকল কোলাহল শব্দহীন হয়ে
পিছলে পড়ে যায়
দৃষ্টিসীমানার বাইরে একা নদী একাকী সাঁতরায়
সময় থেকে দূরে
আরেক সময়ের গর্ভে ঝরে পড়ে
গন্ধ-পুঁজ ভরা সবুজ আতাফল!