কথা কও, শব্দে আইসো
বিটাধারী অয়ি অধ্বনিন
জন্মেও নড়ে না যা— ডিম
কথা কও, শব্দে আইসো
শনৈঃ শনৈঃ ঐ—
বেগে বাড়ে নদী
জন্মেও নড়ে না যা— ডিম
জল ছিল মাতা আর
তুমি ছিলে ধ্যানরত প্রলয়ের জলে সমাসীন
আমার শরীরে যদি এতোকাল থেকেছো শায়িত
তোমার সমাধি আমি—
এসেছি সেখান থেকে ছিলাম না যেখানে কখনো
অথচ সেখানে আজও আমাকেই পাবে বর্তমান
আলোর অনেক দাগ তারও নিচে ঘন অন্ধকার
আলোর ওপরে আলো ক্রমাগত করে আরোহণ
সমাহিত হলে ধ্যানী, ধ্যানরত শরীরে আমার
সবুজ তুঁতের গাছ, পোকা খায় পাতার শরীর
ঘাস ওড়ে, পাতা ওড়ে
মাটিতে যাচ্ছে ঢুকে ঘাসের শিকড়
ঐরাবতের শুঁড়ে
ভর করে যায় উড়ে
মনোবিকলন আ রে মনোবিকলকন
গোধুমে গোধিকা চলে
উঁকি মারে ঘড়িয়ালে
গোচরীভূত
আমারও তো জিগমিষা
কুয়াশায় ভাসা ভাসা
অবিকশিত
আর আমি তোমাকে এবার বিদায় জানাতে চাই।
ঝরা পাতায় মোচড়াচ্ছে মৃত্যুকাতর খরিশের লেজ।
আমাদের মাঝখানে নদীর প্রস্থ মেলে ধরা
মেছোগন্ধ, জলজ বাতাস
ডিমভর্তি পেট নিয়ে লাফাচ্ছে—
শৈবালে ছাওয়া অন্ধ সবুজ মাছ
ডিম্বিনী মা, পোনাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে 'জল' নামক অপর মায়ের কাছে
জল ছিল মাতা আ রে
তুমি ছিলে বিটাধারী
অয়ি অধ্বনিন
জন্মেও নড়িলো না ডিম
কথা কও, শব্দে আইসো...