ঝিলমিল একটা কার্ড আর কিছু ফুল নিয়ে বিশাল একটা সারপ্রাইজ হয়ে যাবে এবার। বইটই দিয়ে কি হবে পড়বার সময় কোথায় ওতসব বুঝে কে, ঝামেলা। আর চিঠির চাইতে একটা এসএমএস ভালো নয় কি? লং ড্রাইভ আর হুম সেলফি ফটোর সাথে স্ট্যাটাস দিয়ে উইশ করলেই তো হলো। ট্রিট তো প্ল্যানিংই আছেই, সো এইবার হয়ে যাক!
___মেনে___নিয়ে___প্রেম___ও___প্রেমিক___মেনে___নিয়ে___প্রেম___ও___প্রেমিকা___জমা
হচ্ছে প্রত্যেকদিন মিউজিক্যাল টপ চার্ট। আজ আড্ডা, আগামীতে
ফুচকা কিংবা ফ্রাইড চিকেন। নেটওয়ার্ক আর নতুন নতুন গ্যাজেড নিয়ে ব্যস্ততায়। আধুনিক
প্রেম হয়ে উড়ছে অদৃশ্য শর্ত...
একটা ছায়া ঘুমের ওম দিলো। আমি কেমন দুলতে লাগলাম তোমার কাঁধে মাথা রেখে।
মেঘবালিকে পিছনে ফেলে সূর্যাস্ত হচ্ছে। তুষার উড়ছে দেখো... ভালোবাসি তুষার। স্বপ্ন
স্বপ্ন,
নাহ। গোলাপের ঘ্রাণ ফুরিয়ে, আকাশ রেখায়
এঁকে যাচ্ছে ঘুম সবুজ । আমি চাই তোমাকে এই তুষারে জোনাকির গল্প বলতে, যেখানে তোমার পিছু নিয়েছিল হুল বিড়ালটা। ইলিশ মাছটা প্লেটে রয়ে গেলো।
জন্মের ভেতর প্রেম আছে। একক অংশের দাবীতেই তো তুমি থেকে, আমি
থেকে আমরা হয়ে উঠেছি!
পৃথিবীতে তখন ঝুম বৃষ্টির আয়োজন। তখনো ঘুমায়নি অহর্নিশি বই, বাতি জ্বালানো জানলা। প্রেম হয়েছে বহুবার অথচ একই ছাঁদনাতলায় অপরিচিত
ক্ষতের ভেতর মৃত। বিগত অসুখের মন গভীরের ভেতর যে শরীর খাদ হয়েছে, কেউ কাউকে চিনতে পারেনি, ছুঁয়ে দেখেনি বরং
ঘুমপাড়ানির গান হয়ে গেছে এক একটা ভোর। কে কখন কিভাবে কেঁদেছিল কেউ জানেনি। শুধু
মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে অর্ধ সিগারেট, টুকরো কাগজ। ল্যাম্প জোনের
পাশে কবিতার বই আর পুরোনো এ্যালবাম। সদ্যই ছায়া শরীর হয়ে শীতল হচ্ছে মস্তিষ্ক। রাত
স্নান করলো, একাকিত্বতায়।
স্রষ্টা যেমনটাই সাজিয়ে রাখে, দৃশ্যের ধার করে বেড়ায় কেউ না
কেউ। শতাব্দীকাল কেটে যাবে এই মন্ত্রে। মায়া বাড়ে প্রত্যেক শূন্যস্থানের আগে। অথচ
নিয়ম করেই ট্রেন আসে রোজ। নীলে ট্রেনের সাথে মিলিয়ে গেছে গর্ভের ঘুমন্ত নীল চোখ।
আকাশে সূর্য এঁকে যাবতীয় বোধ জেনেছে কি পৃথিবী পথ বন্ধুর বলে ট্রেন শরীর মেপে চলে
নির্দিষ্ট শহর!