ঠিকানা বদলে যায় ফুলদের!
ঠিকানা বদলানোর সুকৌশল বিদ্যাটাই প্রথমত রপ্ত
করে
তেরো থেকে উনিশের যুবতী ফুলেরা!
সৌন্দর্যের প্রস্ফুটন একার জন্য নয়,
এই কথাই কারা যেন নিরাপদে চুপিচুপি পৌঁছে
দিয়েছে
বঙ্গদেশে থরথরে ফুটে ওঠা কুমারী ফুলেদের
কর্ণকুহরে!
যে কোনো একক মৌ বনে
ফলত, ফুলের ভ্রমণ
জীবনব্যাপী হয়না আর
সপ্তাহ পক্ষকাল মাসই ঢের, ক্ষেত্রবিশেষে বছর সর্বোচ্চ!
অপ্রকাশিত চিত্রনাট্যের সবটুকু!
তোমাকে চেয়েছি অবশেষে এ সত্যও কতটুকু জেনেছো?
চিত্রনাট্যে যতটুকু প্রকাশিত, এইতো!
ঢের আছে আড়াল, যেমন নিপুণভাবে
নীতি আর আদর্শকে বিচূর্ণ করে তোমার প্রস্থানে
অবাক আর হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো আমার অন্তরাত্মা!
সিক্সটি নাইনকে উলটে দিলে যেমন নাইনটি সিক্স-
সফল পরিসমাপ্তি শেষে এখন তেমন ক্রমাগতই জানছো
তোমার পরিভ্রমণ কালে আমার ভেতরকার ঊর্মিকেও!
জীবন সর্বদাই নির্মম আর অভিশপ্ত নয় এটাতো
বুঝেছো?
তেমনি অক্টোবর মানেও নয় তোমারই প্রাবল্য কেবল
ঝুমা অথৈ লিসা কিংবা সুমীও আছে, ডিসেম্বরেই আইরিন!
এসবই লাস্ট ন' বছর ধরে দেখছি-
প্রেমিকারা অন্য পুরুষেরই বউ হয়ে যায় বারবার!
তাই সংবিধিবদ্ধভাবেই সতর্ক হওয়া উচিৎ
আর চাই সবারই একজন করে ব্যাকআপ প্রেমিকা
তোমাদের চলে যাওয়ার পরও যে কিনা থেকে গেলো
অন্তত!
রেলিঙে ফুলের টবগুলো বছর ঘুরলেই
বদলায় যেমন, মানুষের
কেমেষ্ট্রিওতো তাই-ই আজকাল...
এইরকম পাপস্পর্শ আর জটিলতাময় নৃত্যধ্বনিই চারপাশে-
তবুও তুমি আমি কিংবা
প্রশ্নবিদ্ধ অন্য মানুষ কেউই বোঝে না
যাবতীয় দেহলি নান্দনিকতা, যৌন আর জৈবিক বাসনা
আড়াই বছরের প্রেম ভাঙে যেমন, আড়াই দশকের ঘরও!