মাজহার সরকার'র গুচ্ছ কবিতা












মানুষ


কামড়ালে মানুষ বাঁচে নামানচিত্রের পর মানচিত্র বদলালো, পতাকা বদলালো। সীমান্ত দিয়ে মানুষ চলে গেলো- আ হাবা মুখ, মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুল, রুগ্ন মানুষ, পুষ্টিহীন শিশু, অগ্নিময় দুই চোখ। ঈশ, কতো রক্ত জমেছিলো এই দেশে। উদ্বাস্ত উম্মুল। এখনো চত্বর জুড়ে সমূহ পায়ের রক্তদাগ।এখনো মানুষ কামড়ালে যে মানুষ বাঁচে না।


তরুণ কবি যাবে না, মরে যাবে


জীবনানন্দ প্রায়ই বলেন জীবনটা কেমন নষ্ট হয়ে গেলো তোমার। রঙ চা খেয়ে খেয়ে তরুণ কবি মরে যাবে। দুপুরের রোদে আকাশ দেখে ফোস্কা পড়ে যাবে ত্বকে। ক্ষুধা চেপে চেপে তরুণ কবি মরে যাবে। বেশ্যারা দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকবে, চাকুরীদাতা চিঠি নিয়ে বসে থাকবে, তরুণ কবি যাবে না মরে যাবে। রিকশা ভাড়া দিতে দিতে তরুণ কবি মরে যাবে। চেতনার তর্জনে গর্জনে পুড়ে যাবে, এটাচবাথ এক রুমের বাসা খুঁজে না পেয়ে তরুণ কবি মরে যাবে, গুলি নয় গালি খেয়ে মরে যাবে। স্তন আর স্তবের চাপে মরে যাবে। সত্যি কথা কি কিছু টাকার জন্য তরুণ কবি মরে যাবে। সারা গা সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেও খসে যাবে। আসলে একটা চুমুর জন্য তরুণ কবি মরে যাবে। 


স্টেনগান


স্টেন বুকে নিয়ে ফুলগাছের ছায়ায় তন্দ্রায় ঢুলে পড়া যোদ্ধা আমি রোদ চিরে ঢালুর দিকে- বনের দিকে- দৌড়ে গেছে একলা ঘোড়া এই ঝরে পড়া ফুল প্রেমিকের চোখের মতো আগুনের কান্না হয়ে জমে শুধু ঘাসে আজ বুলেটকে বকুল বলে মনে হয় স্টেনের ট্রিগারকে মনে হয় পারুলের আঙুল বকুল পারুল আমার পিতার প্রেমিকা ছিলো পিতার খেলোয়াড় খ্যাতি ছিলো আমি হয়েছি অলস যোদ্ধা শুধু নীল হয়ে উড়ে যাই নুন হয়ে ভাতের গান গাই স্টেন কাঁধে।



এবার তুমি কি করবে মাজহার সরকার?


স্বপ্নে দেখলাম ঘাওয়ালা একটা কুত্তা এসে আমার গাল চাটছে। একটা শিম্পাঞ্জি কোলে উঠে এসেছে। একটা সুতানলি সাপ নুনু প্যাঁচিয়ে ধরেছে। গা ভর্তি গজাচ্ছে অকেজো ঘাস। স্বপ্নে দেখলাম ফেসবুকে ফাঁস হয়ে গেছে বেশ্যার সাথে আমার সব চ্যাট হিস্ট্রি। সুনামের কলস ভেঙে গড়িয়ে পড়ছে আসল লালা। সাবেক প্রেমিকার বাবা পুলিশ নিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছে বাসার নিচে।

SHARE THIS

Author: