বাজারি সওদাগর
দৃশ্যপট পাল্টে গেলেই
আমরা হয়ে যাই বাজারি সওদাগর।
পণ্য নাকি বিজ্ঞাপন?
খোলা বাজারে বিক্রি
হতে থাকে মনুষ্যবোধ।
দিন যত চলে যাচ্ছে
আমরা হয়ে যাচ্ছি জ্বরগ্রস্ত রোগী
হারিয়ে যাচ্ছে
গ্রামীণ বধুর উলুধ্বনি সন্ধ্যা রাতের মেঘ
এখন গোপন পথে হাঁটলেই
পাওয়া যায় বরফের বিষ।
গত জন্মের ইতিহাস
ভুলে কেউ কেউ মৃত্যু মায়ায় থাকে ডুবে
দেহতত্ত্ব কমবেশি
আমাদেরও আছে জানা,
যুগল বাতাসে
আমন্ত্রণে যখন ভেসে যায় কুমারী যৌবন
শালিক রাতে
চন্দ্রস্রোতের ফণায় শুনি দানবীয় উল্লাস
তখন নিমপাতায় ঢেকে
রাখে তাঁরা হলুদাভ সুখ।
দৃশ্যপট পাল্টে গেলেই
আমরা সবাই হয়ে যাই বাজারি সওদাগর।
সার্কাস জাদুকরের
মৃত্যুভয়
আমি মানুষ চিনি না
ক্যান? জঙ্গলে গেলে কিছু
ভদ্রগোছের বৃক্ষের সাথে সখ্যতা হয় আমার। যমজ জন্ম যাদের ছিল
তাঁদের স্ববিরোধী প্রেমে বিচরণের ক্ষেত্রগুলোতে শ্যাওলা জমেছে আজ। পাখিপ্রেমে ফিরবে বলে যারা বসেছিল
লতাগুল্ম আর ঝোপের আড়ালে তাদের এখন দুঃসময়। ষড়যন্ত্রের রসায়নে
পড়ে ভুলে গেছে আদি পথ। কিছুটা আগুন চাই, সূর্যের উত্তাপে পুড়ে
খাঁটি হতে গেলে যে গুণ আমাদের দরকার তা খেয়ে ফেলেছে চৈত্রের অন্ধকার। এসো বাতাস কিছু প্রশ্ন শুধাই তোমার
কানে কানে। মানুষ তো বধির হয়ে
গেছে দরজায় খিল এঁটে ভাবছে রোদ্দুরে ভিজে যাওয়া উড়ন্ত পাখির কথা। পরম বিশ্বাসে যাকে বুকে টেনে নিয়েছি
সেই ভেঙ্গে দিয়েছে বিবর্ণ পাতাদের সংসার। এ আমার আদিনিবাস। জল বারান্দায় বসে সুনিপুণ ভাবনায়
কেটেছে আমার রবিবাসরীয় সময়। আমরা হাসতে ভুলিনি আজও। জল আয়োজনে পানশালায় বসে আছি অথচ
সার্কাস জাদুকর আমাদেরকে দেখায় মৃত্যু ভয়।