তোমার স্বাধীনচেতা হাওয়াই গাড়ির ইঞ্জিন আমি বন্ধ করে দেব। চেয়ে দ্যাখো, বুক বরাবর নিখুঁত চালুনির মত ফুটোগুলো, এর আরো গভীর অন্ধকারে এক ক্ষুরধার কাচমহল সেখানে তোমায় বন্দী রাখব।
হুটহাট রকমারি ফাংশনে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা
শিগগির পাচ্ছ, শিশিরের বালিশে ঘুম লুকিয়ে অতলান্ত ছোবার আকাঙ্ক্ষাও গুড়েবালি করবো। পিনপতন নীরবচারী পোকার মত, একাকী লাইব্রেরির
তাকে পাহারা দেবে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। খসতে থাকা চুনকাম, মরিচ বালুর সঙ্গে থুবড়ে
পড়বে শক্ত ভূমিতে।
এক হাড়ি ল্যাংচা আর তুমি বাপের বাড়িমুখো
নৌকার নশ্বর প্রান্তে বসে স্বামীর লবণাক্ত মুখটা দেখতে পাচ্ছ না, ভাবো কেমন সঙ্গিন লাগে অবস্থাটা? অথবা আদর্শলিপির বইয়ে যাবতজীবন কারাদণ্ড
লিখে দিলে? আদম তো পেয়েছিলেন সাড়ে তিনশত বছর ক্রন্দসী
আয়ু, তুমিও বিচ্ছিন্ন করতে চাও পাপের জরায়ু। অথচ না জানো কান্না, না পরতে পারো কাজল। না হয়েছ রাঁধুনি, না জেনেছ গজল।
এই উৎসব, বৈশাখী হাওয়া কিছুই লাগিও না
গায়ে, কেমন? বড়জোর রৌদ্রেরঝাঁজে জাস্ট একা একা হেঁটে চলে যাও ধ্রুপদী শাড়ির আঁচল
ফেলে।