মূল
সেইসব আঁধার থেকে উঠে এসে
সেই আঁধারের মূলে ফিরে চলছি আবার
এইসব আঁধার সয়ে নিতে নিতে জন্মান্তরে
আমরা মূলতঃ পরাধীনতাকেই ভালোবেসেছি!
কোন এক জন্মে বৃক্ষ হ'বো
এখনও স্ববিরোধী হাওয়ার মত কিশোর, আমি
নিজের ছায়া দ্যাখে খোলা জানালায় দোলে উঠি পর্দার মত
মৌনতাধীর এক অনাদি প্রান্তরে আকাশমুখী পথে
কোন এক যৌবনে বৃক্ষ হ'বো
পথিকের আলোজলঘন হৃদয় কাহন এঁকে পত্রপল্লবে
সাক্ষী হ'বো জন্মান্তর ইতিহাসে
মানুষেরা পা'য়ে পা'য়ে বড় চঞ্চল
মানুষেরা মানুষে চোখে-বুকে অচল
মানুষের বুকে মনুষ্য বেদনার হলাহল
কোন এক জন্মে বৃক্ষ হ'বো
আঁধার
রাত ডুবছে রাতে
মানুষকে মানুষের গভীরে ঘিরে!
মানুষের চোখে রাত
মানুষ ডুবছে মানুষের রাতে!
কেউ ধরছে না!
ঠিকানা
আমাদের কোন ডাকনাম ছিল না হৃদয়ের প্রযত্নে আকাশ
মেঘকে বলেছি ছায়া দিও ওখানে বৃষ্টি আমার
চিঠিগুলো উড়ে ভেসে আছে নীলে, জলমিছিলে...
তুমি
'তুমি' লিখতে গেলে শুকিয়ে যায় নদী সব- সবই!
উচ্চারণে উৎকণ্ঠিত আমি
তোমার নামের বানান শিখি নাই!
'তুমি' কীভাবে আঁকি?
জলের মতন কেউ তুমি, গলে গলে যাও হাত- হৃদয় ;
লিখতে গেলে শুকিয়ে যায় সময়ের নদী সব-সবই!
তোমাকে, কী নামে ডাকি?