(১৩)
কনস্টেবল – লেহ হালুয়া! গুষ্টিশুদ্ধু সকলের নামই জগাই!
জগাই – হ্যাঁ। ঘাবড়ে যাচ্ছেন কেন? প্রথম চন্দ্রগুপ্ত,
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, প্রথম পাণিপথ, দ্বিতীয় পাণিপথ এসব শোনেন নি? না শুনতেই
পারেন, পুলিশ তো। এত জানবেন কখন? আপনাদের যা কাজের চাপ!
কনস্টেবল – ও। হুম। তা আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। থানায়
চলুন।
জগাই – থানায়! ওয়ারেন্ট! বলেন কি! কি সৌভাগ্য আমার! ওরে কে
আছিস! হাবু, কেলু, ঘেটু শীগগির শরবৎ নিয়ে আয়! আমার নামে ওয়ারেন্ট এয়েচে!
কনস্টেবল – একি! একি! আপনি তো মশাই আচ্ছা ঢ্যামনা! ওয়ারেন্ট
শুনলে লোকে ভিরমি খায়, আর আপনি দেখছি একেবারে আনন্দে দিশেহারা!
জগাই – কি যে বলেন পুলিশদা! ওয়ারেন্ট কি আর যার তার নামে
বেরোয়? কাগজে তো দেখি বড় বড় সব মন্ত্রী, বড় বড় সরকারি আমলা, বড় বড় নেতা, এদের
নামেই ওয়ারেন্ট টোয়ারেন্ট বেরোয়। বলুন ঠিক কি না? সে যাই হোক, আপনি ঠিক দেখেছেন
তো? ওয়ারেন্ট আমার নামেই তো?
কনস্টেবল – মশাই, ছাব্বিশ বচ্ছর পুলিশে চাকরী হয়ে গেল। হু
হু বাবা! একটা ওয়ারেন্ট দেখতে ভুল এই শর্মার হবে না। (পকেট থেকে ওয়ারেন্ট বার করে)
এই তো, আপনারই নামে ওয়ারেন্ট। এই যে পরিষ্কার লেখা আছে জগাই মিত্তির।
জগাই – উঁহু, তবে তো হলো না। নাকের সামনে থেকে সুযোগ ফস্কে
গেল। একি অসম্মান!
কনস্টেবল – তার মানে? কিসের অসম্মান?
জগাই – আরে এখানে তো লেখা আছে শুধু জগাই! কিন্তু আমি তো
চতুর্থ জগাই!
কনস্টেবল – চতুর্থ! না এখানে কোথাও চতুর্থ বলে কিচ্ছু লেখা
নেই। থাক আমি বরং থানায় একবার ঘুরে আসি। বড়সাহেবকে একবার দেখিয়ে ভালো করে জিজ্ঞেস
করে আসি।
জগাই – না-না-না, সেটি হবে না। এয়েচেন যখন তখন আমাকে নিয়ে
যেতেই হবে। আপনি জানেন আমি কোন বংশের ছেলে? আমার একটা প্রেস্টিজ আছে না? পুলিশ এল,
ওয়ারেন্ট বার করল, অথচ আমাকে গ্রেপ্তার করল না। কেন? আমি কি এলেবেলে? সমাজে কি
আমার স্ট্যাটাস নেই নাকি?
কনস্টেবল – এ তো ভালো মুস্কিল! চতুর্থ জগাই লেখা না থাকলে
আমি গ্রেপ্তার করব কি করে? আইনে ব্যাপারটা টিকবে না।
(১৪)
জগাই – তাও তো বটে! আচ্ছা আপনি বসুন, আমি এই বাফুমুটা খেয়ে
নিই। হু হু জাপানী খাবার!
কনস্টেবল – জাপানী! কি বললেন? বামুফু?
জগাই – না না, বামুফু নয়, বাফুমু। মানে বাতাসা-ফুলুরি-মুড়ি।
এই হলো গে আমার জাপানী খাবার। হু হু দ্য গ্রেট জলখাবার অব দ্য গ্রেট জগাই দ্য
ফোর্থ।
কনস্টেবল – ধ্যাত জাপানীরা ফুলুরি খায় নাকি! মুড়ি বাতাসা
জাপানে পাওয়া যায় নাকি?
জগাই – হ্যাঁ রে দাদা হ্যাঁ। সব পাওয়া যায়। পুলিশে চাকরী
করেন বলে কি লেখাপড়া একদম করেন না। যাকগে, বসুন। বলুন দেখি কত নেবেন?
কনস্টেবল – (ভ্যাবাচ্যাকা) কিসের কত?
জগাই – মানে বসতে কত নেবেন? কত টাকা?
কনস্টেবল – মানে? টাকা মানে? বসতে টাকা নেব কেন?
জগাই – না, মানে বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে দেখে আসছি পুলিশ
মানেই হলো উঠতে টাকা, বসতে টাকা।
কনস্টেবল – আমার বসে কাজ নেই। থানা থেকে ঘুরে আসি। আপনি
অপেক্ষা করুন। আমি এই যাব আর আসব।
জগাই – না দাদা! সেটি হচ্ছে না। যারাই বলে এক্ষুনি ঘুরে
আসছি, তারাই আর আসে না। এ আমার দেখে ঠকে অনেক শিক্ষা হয়েছে। দিব্যি ডিম নিল। হাতে
নেওয়ার পরে বলে, এই যাহ্! জগাই খুচরো আনতে ভুলে গেছি। এখুনি এসে দিয়ে যাচ্ছি।
ব্যাস! সেই যে যায় এক্কেবারে পগাড় পার। আর টিকিটি মেলে না।
কনস্টেবল – কেন? আমি আপনার কাছে ডিম নিয়েছি নাকি?
জগাই – না-না, ডিম নেবেন কেন? হে হে...আমি তাই বলেছি কি?
অবশ্য ইচ্ছে হলে নিতেও পারেন। পুলিশ তো সাবান টু সেফিটিপিন সবই নেয়। মানে...
বলছি... আর... কি... যে... ব্যাপারটা ঠিক হচ্ছে না। হাজার হোক আপনি পাড়ার পুলিশ।
বাড়ী বয়ে এসে ডাকলেন। আপনাকে কি খালি হাতে ফিরে যেতে দিতে পারি! আমাদের বংশে অতিথিকে
কেউ খালি হাতে ফিরে যেতে দিয়েছে কখনো? না-না, আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। এই আমার খাওয়া
শেষ। চলুন।
(১৫)
কনস্টেবল – তারমানে! কি করে আপনাকে নিয়ে যাব? নামেই তো
মিলছে না!
জগাই – তা হোক। তবুও আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। পুলিশ তো
হামেশাই একে তাকে তুলে নিয়ে যায়! ওয়ারেন্ট নিয়ে আর কজন কে ধরে? কতবড় সম্মানের
ব্যাপার বলুন তো?
কনস্টেবল – হুম, আপনাকে নিয়ে যাই , আর তারপরে রাজ্যের যত
দিদি আর দাদারা ঝাঁপিয়ে পড়ুক। ভুল লোককে লক আপে কয়েদ! কাগজের হেডলাইন। মানবাধিকার
কমিশন। ওরে বাবা! পেট টা আবার কেমন মোচড় দিচ্ছে!
(জগাই হঠাৎ হাত তুলে নাচতে শুরু করে)
জগাই – ইউরেকা – ইউরেকা! পেয়েছি – পেয়েছি!
কনস্টেবল – এই রে! এই – এই মশাই! কি হলো? আরে হলোটা কি?
এখনো তো এক ডান্ডাও দিইনি। এরকম করছেন কেন?
জগাই – শুনুন, অপরাধীদের কি একটাই মাত্র নাম থাকে?
কনস্টেবল – কস্মিনকালেও না।
জগাই – অ্যাই ঠিক বলেছেন। কি রকম নাম হয় ওদের?
কনস্টেবল – ধরুন, কাটা ফটকে ওরফে ফটিক। কানা কেষ্ট ওরফে
ফাটা বিষ্টু। গন্নাকাটা শাকিল ওরফে লঙ্কাবাটা ভোকিল।
জগাই – জগাই ওরফে চতুর্থ জগাই।
কনস্টেবল – অ্যাঁ! (উইকেট কিপিং এর ভঙ্গীতে কিছুক্ষণ জগাই
এর দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে। তারপর আচমকা দৌড়ে গিয়ে জগাইকে জাপটে ধরে চীৎকার
করতে থাকে) পেয়েছি! পেয়েছি! আসামী জগাই ওরফে চতুর্থ জগাই প্রেপ্তার! স্যার! স্যার!
ওপর থেকে তাকিয়ে দেখুন স্যার ছাব্বিশ বছরের চাকরীতে এই প্রথম একজন সত্যিকারের
আসামীকে ধরতে পেরেছি স্যার! নো প্রক্সি। স্যার এবার কিন্তু থানায় ডাক তোলার কাজ
আমাকে দিতেই হবে। হুঁউঁউঁউঁউঁউঁ... (বাচ্চাদের বায়নার মত আওয়াজ করে)
জগাই – আরে ছাড়ুন ছাড়ুন মশাই! করছেন কি! কাতুকুতু লাগছে যে!
হিহিহি...
(১৬)
কনস্টেবল – না না! ওসবে ভুলছি না। আসামীকে হাতে পেয়ে থুড়ি
বগলে পেয়ে ছেড়ে দিই, আর আপনি ফুড়ুৎ! এত বোকা নাকি আমি!
জগাই – আরে! এতজোরে চেপে ধরলে আপনার পেছন লিক করে যেতে
পারে। সেটা ভেবেছেন! আপনার পেট টা ঠিক নেই।
কনস্টেবল – ও হ্যাঁ, ঠিক আছে। (ছেড়ে দেয়) কিন্তু পালাবেন না
প্লিজ!
জগাই – না না, পালালে আর ধরাবো কেন? ভয় নেই পালাবো না।
আচ্ছা একটা কথা বলবেন দাদা! থানা কি সেই আগের মতোই সেই রকমই আছে?
কনস্টেবল – আগের মত মানে? কি রকম ছিল আগে?
জগাই – হে হে... সে আরেক গপ্পো দাদা। বছর পাঁচেক আগে ডিমের
গুমটি বন্ধ করে দুপুরে বাড়ী ফিরছি। হঠাৎ ছ্যাড়াৎ করে একতাল কাদা আমার
বুকে মুখে এসে ধেবড়ে গেল। চেয়ে দেখলুম এক ব্যাটা মারুতি হাঁকিয়ে যাচ্ছে। সারা গায়ে
পেন্টিং নিয়ে রে রে করে তেড়ে গেলুম। পালাতে গিয়ে মারুতি ব্যাটা কাদায় গেল ফেঁসে।
আর নামতে গিয়ে এক ব্যাটা ব্র্যান্ডেড মাল কাদায় পা হড়কে হড়াৎ করে চিৎপটাং। হিহিহি...সে কি দৃশ্য! কিন্তু বলব কি মশাই, থানায় গিয়ে সেই
সেই ব্র্যান্ডেড মল মালটা উলটে আমার নামে কম্পেলেন করল, আর পুলিশও চোখের পলক ফেলতে
না ফেলতেই চোঁওওওও করে আমায় ধরে নে গেল!
কনস্টেবল – ও! থানায় ঢোকা ওব্যেস আচে তাহলে?
জগাই – ওব্যেস কোতায়! সেই প্রথম। হেঁ হেঁ... বললো খাঁচা
খোলা আছে। ঢুকে পড়।
কনস্টেবল – হুম লকআপ।
জগাই – হ্যাঁ সরকারি খাতায় তাই বলে। ভেতরে ঢুকে দেখি
অন্ধকার, দুর্গন্ধ। তারমধ্যে গোটা পাঁচেক ত্যাড়াব্যাঁকা লোক বসে আছে। ভেতরে মেঝেতে
একপাশে জল জমে আছে। একটা ষন্ডা মতো লোক ভুরু কুঁচকে আমাকে দেখছিল। মুলোর মত দাঁত
বার করে বলল, রাতে আমরা সবাই হিসি করেছি, তারই জল। খারাপ কিছু নয়। চলে এসো দাদা!
তারপর দেখি সারারাত ধরে একবার করে ফোন বাজে, আর একজন করে ছাড়া পায়, একবার করে ফোন
বাজে আর একজন করে ছাড়া পায়। পাঁচবার ফোন পাঁচজন খালাস। হে হে... ওদের সব মাথারা
মানে ওই হলুদ-বেগনী-কালো পার্টির দাদাদের এক এক মোক্ষম ফোনে সব বেকসুর খালাস। তা
দাদা, থানা কি এখনো সেরকমই আছে?
(১৭)
কনস্টেবল – হ্যাঁ, তাতে কি হলো? তোমারও কোনো দাদা কিম্বা
দিদি ফিট করা আছে নাকি?
জগাই – না না, দাদা দিদিরা আমাদের মত ফেকলুকে পাত্তা দেবে
নাকি? ওই ভোটের সময়েই যেটুকু দেয়। তারপরে তো হ্যাট হ্যাট ভ্যাট ভ্যাট...
কনস্টেবল – তাহলে? থানা নিয়ে এত তদন্তে কি দরকার হে চাঁদ?
জগাই – কিন্তু ও যে নরক!
কনস্টেবল – তা তোমার জন্যে কি থানায় স্বর্গ বানিয়ে রাখতে হবে
নাকি হে? অপ্সরারা নাচবে?
জগাই – ধুসসস... আমাদের লাইফে আবার অপ্সরা! হেঃ! অপ্সরা তো
ওই ব্র্যান্ডেড মালদের সম্পত্তি। সেজন্যে নয়। কিন্তু ওই বিচ্ছিরি গন্ধে যে আমার
বমি হয়ে যাবে!
কনস্টেবল – উঠে এলে করবে। ওরা হিসি করলে তুমিও বমি করবে।
নাও, অনেক হল, এবার চল।
জগাই – হাহাহাহা... একটু আগে আপনি বলছিলেন, এখন ধরার পরে
তুমি! বেশ-বেশ, ভালোই। আমরা আবার মানুষ! তাঁর আবার আপনি আর তুমি! সে যাকগে, আচ্ছা
আমার অপরাধটা কি জানতে পারলে ভালো হত না?
কনস্টেবল – সেটা কাল কোর্টে গিয়েই জানতে পারবে। এত ইংরেজী
পড়তে পারলে আমি কবেই সার্কেল সাহেব হয়ে যেতাম। নাও, এখন চল তো! চল-চল...! অনেক
দেরী হয়ে গেল। ঘুন্টি আবার অপেক্ষা করছে। তোমাকে লকআপে ঢুকিয়েই তার মানভঞ্জনে
দৌড়তে হবে।
জগাই –
ঘুন্টি আবার কে?
কনস্টেবল – (সচকিত হয়ে গলা খাঁকারি
দিয়ে নিজেকে সামলে নেয়) না কেউ না। নিজের ডিমে তেল দাও। চল এবার।
জগাই – আচ্ছা চলুন। মা! আমি চল্লুম গো! বাইরে বাটি পড়ে
রইলো। (গেয়ে ওঠে) একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি...
(মঞ্চে
একটি Zone আলোর বৃত্তে কনস্টেবল ও জগাই
হাঁটতে থাকে। আলো ধীরে ধীরে নেভে। একই সঙ্গে মঞ্চের অন্যপ্রান্তে জগাইয়ের বাড়ীর
ভেতর থেকে তার মা বেরিয়ে আসেন। আলাদা Zone এ আলোর বৃত্ত। মা জগাইয়ের যাওয়ার রাস্তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আঁচল
দিয়ে চোখের জল
(১৮)
মোছেন। তারপর দু হাত জোড় করে কপালে ঠেকান। আলো নেভে। মঞ্চে
সেই প্রথম দৃশ্য। বিচারক, উকিল ও জগাই।)
বিচারক – হুম, ব্যাপারটা বোঝা গেল।
উকিল – হুম, বোঝা গেল।
বিচারক – তাহলে শুরু করা যাক।
উকিল – হ্যাঁ হুজুর, কারবাই শুরু হোক।
বিচারক – কি বললেন?
উকিল – আজ্ঞে কারবাই। বিশুদ্ধ হিন্দী, রাষ্ট্রভাষা স্যার।
টিভি তে উকিলরা বলে দেখেছি স্যার।
বিচারক – হুম ঠিক আছে, ঠিক আছে। তাহলে আসামী জগাই ওরফে
চতুর্থ জগাই আপনি কি আপনার অপরাধ স্বীকার করছেন?
জগাই – অন্যায়টা যে কি করলাম
তাইই জানতে পারলাম না এখনো!
উকিল – (একটা কাগজ দেখে পড়তে
থাকে) আসামী জগাই ওরফে চতুর্থ জগাই, পিতা
জগমোহন মিত্তির ওরফে তৃতীয় জগাই নিবাস আটের বারো কাটা ফটিকের ফাটা গলি, গত পাঁচই জুন রাত্রি প্রায় দুটোয় আসামীর বাড়ীতে পাঁচজন চোর একত্রে ঢোকে ও সর্বস্ব
চুরি করে। আজ সাতমাস অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও আসামী এই বিষয়ে থানা বা প্রশাসনকে কিছুই অবগত
করান নাই। চোরেরাও ধরা পড়ে নাই। আসামীর এবম্বিধ দুঃসাহসিক আইন লঙ্ঘনের
কারনে তাহাকে দন্ডবিধির চারশত একুশ নম্বর ধারার একশত চার নম্বর উপধারার তিনশত বাহান্নর
গ উপ উপধারা অনুসারে আদালতে তলব করা হইয়াছে।
বিচারক – ব্যাপারটা
বুঝেছেন? কি মারাত্মক অপরাধ আপনি করেছেন! আপনার বাড়ীতে ভয়ঙ্কর রকমের চুরি হয়ে গেল। আপনি কোথায় তৎক্ষণাৎ থানায় ডাইরি করবেন, ছুটোছুটি
করবেন, কান্নাকাটি করবেন, মাথার চুল ছিঁড়ে
চীৎকার করবেন ওগো আমার সব চলে গেল রে…, প্রতিবেশীদের ঘুম আলটপকা
ভাঙিয়ে টেনে আনবেন আপনার বাড়ীতে! তা না, আপনি দিব্যি চেপে গেলেন! আশ্চর্য! এভাবে চোরেদের উৎসাহ আর ওই ইয়ে কি যেন বলে ইয়ে… অনুপ্রেরণা
জোগালেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, প্রশাসনের
বিরুদ্ধে এ তো মারাত্মক ষড়যন্ত্র!