না, সে তুমি নও। তুমি কখনোই আমার কোন গন্তব্যের
বাধা হও নি। এ বাধা সেই, যা তোমার আর আমার চিত্তের মাঝে ফাটল সৃষ্টি
করতে না পেরে, দেহের সন্নিবেশের ফাটল সৃষ্টি করেছে। এই অদ্ভুত
প্রতিবন্ধকতা কখনো জয় কিংবা ক্ষয় হবার নয়, শুধু নিজেকে
মানিয়ে নিতে হয়। সেই চেষ্টায় আমি অবিরত নিরত। তোমার ভালোবাসা জয়ী। তোমার ভালোবাসা
অটুট।
- ভালো থেকো প্রিয়
রাজকুমারী
অনুভূতি
সর্বদা অগণ্য ভাবনা মম মননে
মানবীয় রূপ দর্শন আমার নানা ধরনে
কখনো স্বজন কখনো আভিগাতী , রূপ হাজার
পরিজন মর্ম কি কেবলই সময়ের ব্যবহার ?
সুরের ঝঙ্কারে হৃদয় হয় কল্পনা প্রসূত
দৃশ্য কাব্যের মননশীলতায় হতে হয় অভিভূত
সুহৃদের সম্মুখভাগ তব কেন অদ্য ক্রুদ্ধ ?
এই ভেবে আমি হই বাকরুদ্ধ।।
যদ্যপি মম ভ্রম সে তো নয় , ইচ্ছার উপর
আপনাদিগের মতিভ্রংশ হয় নাই আঁখি গোছর ,
স্বীয় ক্রিয়াকলাপ হবেনা আপনাদিগের প্রতিকূল
আঙ্গিকরে প্রত্যয় মম , চিরকাল অনুকূল ।।
নিকৃত সৈনিক আমি , চাই একটু শান্তি
অগোচরে যাতনায় মোর , কেন এই ক্লান্তি ? ।।
কি এমন হল ? আছে কি অন্বেষণর
আবশ্যকতা
নিবন্ধ ছিন্ন না হয় , সেটাই মোর ব্যাকুলতা
কমনে তাহার অবস্থান নেই তো জানা
মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আমি , পূর্ব ঠিকানা।।
লেখনী তে কি হয়না ত্রুটি ?
এই তো আমার কেবলই অনুভূতি ।।।
এক ফোঁটা জল
মহা সমুদ্রের তীরে বসে ধ্যানে আমি
জলে মোর নিহারা
আকস্মিক কোন এক অচেনা সুরে ভগ্ন ধ্যান
কি করছ একা আমায় ছাড়া?।।
বিস্ময় কাটেনা মোর দৃষ্টি তার বদনে
হৃদয় পুলকিত হল তাকে দেখার কমনে,
বিস্ময়কর মোর নয়ন জোড়া-কড়া নাড়ে তার হৃদয়ের
দ্বার
তবু প্রশ্ন আমার তরে তার
হে বালিকা, ভ্রান্ত তোমার
মর্ম-এখানে আমার সময় পার।।
প্রতিক্রিয়া তার, ভ্রম সে তো কেবলই
তোমার
মোর মতিভ্রংশ হয় নাই-চিন্তে ভালবাসার,
দেখে নয়,ভালবেসেছি তোমায়
অনুভবে
সে তো আজ নয়,অনেক কাল- জানো
কি কবে?।
বর্ণনায় তার কোমল ভালবাসার ইতিহাস
কে সে? অনাবশ্যক প্রশ্ন – বালিকা মোরে করেছে গ্রাস।।
সে আমার, আমি তার, আমরা দুজন একাকার
জীবন সে তো অর্থহীন, যদি না খুলে ভালবাসার দুয়ার ।
বেলা কাটেনা যুগলের – যদি না হয় কথার গদ্য
নয়নের নয়ন মিলন- সৃষ্টি প্রেমের পদ্য
করবে রচনা, অন্য রকম প্রেমের
ইতিবৃত্ত
জীবন জীবনের জন্য, প্রতিজ্ঞায় যুগলের চিত্ত।।
অশনি সংকেত ভালোবাসার দুয়ারে
বালিকা কহে, বিরক্ত আর নয়
আমারে,
কিংকর্তব্যবিমুঢ় আমি, শুধাই তার সনে
প্রথম দিনের উক্তি কি আছে মনে?
মোর হৃদয়ে প্রণয়ীর আঘাত-সে তো ছিল আমার মোহ
সাধারণ সুর, প্রামাণিক প্রিয়
আমার অন্য কেহ।।
দৃষ্টি মোর আকাশ পানে –উপাসনা রবে
অন্য কিছু নয়, মুষল ধারে বৃষ্টি
দাও ভবে,
অনুযোগ নেই তোমার সনে, বাড়িয়ে দাও বর্ষণ
শান্তিতে আমি এবার করিব ক্রন্দন
কেউ জানবেনা মোর নয়ন জলের কারণ।।
সূর্য কন্যা
আমি তাহারে ভাবি সে যে এক সূর্য কন্যা
পৃথিবী তাহারে জানায় বিদায়
সে যে ছিলো অতি মাত্রার অনন্যা।
কিছু অনুভূতির শব্দে আমিতো নই কবি
কৃত্রিম আলোকে কেউ কি ভেবেছে রবি?
আমি কবির থেকেও বেশি
শুধু তোমারই জন্য আমি যে লিখি।
নিয়তির নিয়মে মম হস্তরেখা
জীবনের গদ্য থেকে আমার কাব্য শেখা,
ধরণীর ছায়াতলে হবে কি তোমার দেখা?
তুমি বিহীন এই সুন্দর পৃথিবী
যেন অন্ধ হয়ে জোছনা দেখা।।
একটু ভাবনা
আমার কষ্টে কেন তোমার অশ্রু নিবারণ
কষ্টই আমার বন্ধন, নেই কোন প্রসারণ
অন্তত কষ্টরা আমার পিছু ছাড়েনা
আমার হস্ত রেখায় মিলিয়েছে তারা।
সন্ধি করার বৃথা চেষ্টা করোনা
দুই মেরুতে সন্ধি কখনো হয়নি
এক মেরুতে আসতে কভু বারণ করিনি।
মিছে বন্ধনের প্রবোধ দিওনা
তোমাকে বড্ড বিশ্বাস করি
আর একটা নীল দরিয়ায় যেতে চাইনা
পূর্বেই নিমজ্জিত কূল খুঁজে পাইনা।
আমার জন্য তোমার কষ্ট হয়
এ আমার পরম পাওয়া , তৃপ্তি চরম
তের নদী হব পার- তুমি যে করেছ স্মরণ।
তোমার একটু ভাবনায় আজ পাড়ি দেব অনেক দূর
এমন হতোনা, যদি হতো আমরা
যুগলের একই সুর,
অভিশাপ দেইনা কখনো তোমায়
তবে আজ কে ভাবত আমায়?
অনঘ
সখী তোমাকেই ভালবেসে যাই
অপর কে নয় ঘৃণা
ভাবি সদা, তোমার সম কিনা।
তোমাতেই আমার সুখ
তোমাতেই আমার দুঃখ
ভূমণ্ডলের চারিপাশ করি যাত্রা
সম কেও নহে, বিন্দু মাত্রা।
প্রণয় কাননে মম কি
সাধন
তোমারেই সনেতো হয়না
হিসাব রক্ষণ।
ভাবিনা কি যে লাভ ক্ষতি
প্রণয়েই সৃষ্টি ধরিত্রী
ভালবাসি নিরবধি।
তোমায় ভালোবাসার সুখ
যদি জানতো দুনিয়ার সব
ঈর্ষা হতো সকলের
আমি যে হতাম শব।
আমার সকল সুখ তোমায় ভালোবেসে
তারই ধারায় সময় যায় ভেসে
এলোমেলো পদ্য লিখে।
ছন্দ খুঁজে বেড়াই কবিতার
মম সব কথন দিতে
তোমায় উপহার।
অশ্রু নহরে জল
প্রকাশনী : চৈতন্য
প্রকাশকাল: বইমেলা ২০১৭
প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান