মাজহার সরকার এর কবিতা
'এইখানে আজ লজ্জা ঢেকে রেখে, বহুকাল গোপন প্রত্যাশার ভেতর নিষাদের নির্মোকে বাঁচাও'
আমাকে টেনে নাও শহরের কিনারে,
যেখানে সূর্য এসে অস্ত যাবে আমার শরীরের ওপর। আমাকে ফিরিয়ে নাও রক্ত ঋতু আর ফসলে।
পোষা কুকুরটাকে ফেলে আমাকে টেনে নাও নাভীর ওপর, আমি আরও ভালো খেলবো এই মৌসুমে।
মাটির গ্লোবে পড়ন্ত রোদের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসবে দুধেল বাঘিনী। এখানে রাখো পা,
এখানে জায়গা নাও। মাটিতে লুটানো ধূলোর মতো প্রার্থনায় জেগে উঠে ছড়িয়ে দাও। অন্ধকারে নত পোষাকে মেঝে চেটে চেটে
মৃত্যুর খোঁজে সূর্যপাতে খুলে ফেলো ফাল্গুনের খিল। ও আঁধার, বুকের
কুসুম থেকে পান করে যাও মধু। ক্ষুধার চন্দনে আরও ঢেউ দাও। থেমো না, থেমো না,
নীলিমার শাহানা থেকে ছিঁড়ে আনো অবিনাশ গ্রহের কামিনী। প্রার্থিত সূর্যের বিজনে আনো
নন্দিত প্রতিশোধ। এইখানে আজ লজ্জা ঢেকে রেখে, বহুকাল গোপন
প্রত্যাশার ভেতর নিষাদের নির্মোকে বাঁচাও।
'এইখানে আজ লজ্জা ঢেকে রেখে, বহুকাল গোপন প্রত্যাশার ভেতর নিষাদের নির্মোকে বাঁচাও'
আঠারো সিঁড়ি
আজ তার মৃদু দেহ মৌসুমির মতো
আকাশের নীল যেন পৃথিবীতে ঝড়ে
যে পাখি নরোম ডানায় তার উড়ে যায় প্রভাতী বাতাস
দিনরাত প্রস্তুতির গান
দুই হাতে জড়িয়ে ধরে তাকে
মুছে
দিতে প্রতীক্ষার অশ্রুময় লেখা
সেখানে আজ তাকে অস্তিত্বের মতো ঘনিষ্ঠ জেনে
দ্রুত পায়ে চলে যেতে দেখি হৃদয়ের ভার বয়ে
আজ তার মৃদু দেহ উদয়ের মতো
মুগ্ধ শিশিরে রোদের হীরক, অস্তমান সূর্যের সোনায়
হেনেছে শুধু বেদনার রাত উতল নির্জনে।
জীবনকে মনে হয় নিরব সঙ্গীত
পৃথিবীর চিত্রশালা শূন্য হয়ে যায়
এইসবে আছি রমণীর রক্তের মতো নিজ সন্ধ্যায়
আজ তার মৃদু দেহ সোনার শরীর
রূপালী মাছের মতো সহজ ইচ্ছায় শুয়ে সেই একজন।
এখানে রাখো পা