মোকসেদুল ইসলামের কবিতা

মোকসেদুল ইসলামের কবিতা
মেয়ে, উন্মাদ হও ভয়ংকর সমুদ্রের মতো


উর্বশী চাঁদের হাট

পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যেও। উপেক্ষিত প্রণয়ের দিনে স্বাক্ষী থাকুক ভেজা মন, নষ্ট বুকখানি। তুমি তো চলেই গেছ, বিপন্ন ধারাপাতে জটিল হয়েছে যে জীবন সেতো আমার নয়। সন্তর্পণ আর্তনাদ করে উড়ে যায় যে পাখি তাঁর কাছে পৃথিবীটা বাসযোগ্য নয়। একজোড়া অন্ধকার চোখ চাই, দেখতে চাই ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাওয়া রূপ। প্রকৃতির কাছে আমিও শিখছি উদার হতে – শোকেসে সাজিয়ে রাখেছি দুঃখ প্লেট, কষ্ট গ্লাস – ডুপ্লেক্স বুকের ফ্ল্যাট। বুকের জমিনে সাজিয়ে রেখেছি শখের আসবাব। এখনতো শপিংমলেই কিনতে পাওয়া যায় দুরারোগ্য ব্যাধি – প্রেম সেও তো টুকরো কাঁচের বাসন। রাত শেষে নর্তকীরা সব মাতাল বেশে হাঁটে যে নগরে আমিও সেই নগরের বাসিন্দা হবো। তাদের সঙ্গে পাঁজর ভাঙ্গা নাচন নেচে সমস্ত জঞ্জাল বিকিয়ে দেবো উর্বশী চাঁদের হাটে।

কিছু লৌকিক কথোপকথন  

নদী, শুকিয়ে যাও
লালায়িত বেশ্যার ন্যায় পেটে ক্ষুধা নিয়ে এবার বালুচর পড়ুক
নতুন দেহতত্ত্ব নিয়ে যখন ভীষণ ব্যস্ত পীর-পুরোহিত
আমার পকেটে ঘুরছে তখন ভবের লাটিম
বুক বরাবর উড়ে বেড়ায় উড়ন্ত সসার
শনির হাঁটে যারা বিকিয়েছে নিজস্বতা বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে তাদের।
             
আগুন, নিভে যাও উত্তরীয় বাতাসে
শীতের আগাম বার্তায় খুশিতে নাচলে নবদম্পতি
পারস্পরিক ওমে পবিত্র হয় অনাগত পৃথিবী
এঋতু অবিছিন্ন বর্ষা কিংবা গরমের নয়
মাঝেমধ্যে অন্ধকারেও ডুবে যেতে হয় শুদ্ধ সংঙ্গীতের আশায়।

মেয়ে, উন্মাদ হও ভয়ংকর সমুদ্রের মতো
পাগল প্রেমিক এসে নিভে দিয়ে যাক জলের কাম
তীব্র আক্রোশে খুন হয়ে যায় মাধুকরী রাত
এখন তো জাফরানি স্রোতে ভেসে যায় মাঘের দুপুর
আঁধারের চৌহদ্দি ঘিরে থাকে আনন্দময়ী বাতাস।

SHARE THIS

Author: