''প্রতিদিন মেঘ ঝুলে থাকলে, 'আমি' ভাবে
সকালটা এতো তীক্ষ্ণ হতো না''
আঁচল খুলে দিলে ঈশ্বর জেগে উঠেন
আলজিবের বৌচি খেলার মাঠে ঘাসের রেস্তোরাঁ
ঘাস কখনো শুকায় না
ঘড়ির কাটায় লেগে থাকে জাহাজমিস্ত্রী।
মেঘের সুরত দেখে,
পর্বতের ঠোঁট ত্রিভাগা মর্মর
বসন-বাসনা সমিত জাহাজমিস্ত্রী কাঁকড়া চিবায় হত্যার খোলসে।
উঠোন পোকাদের থরথরানি পরম মায়ায় শরীল মুছে দেয়
শরীলে আত্মা নাচে
শরীলে আত্ম হাসে
বিবিধ রজ্জু অর্ধমাতাল
সুরতরঙ্গ রোডে হতাশা আড্ডা
সেইম বলে চিৎকার দেয় আড্ডার বালিকা।
ঋতুকাল
নরম বর্ষা কাটাকুটি করতে গিয়ে আমরা আমাদের উৎসব হারাই। লাল কাপড়ে মোড়ানো গন্ধরাস রেখে ঝড় সইতে গিয়েও উন্মাদ হই।
উৎসব- পাতাদের সংসারে কোণঠাসা
উম্মাদ- ঋতুকালের অবসর
নিকানো ছায়ার যেসব অবসর
অমৃতে দৃম দৃম মাদল বাজাতো
কিংবা যেসব মেঘ হারিয়ে গেছে
তাদের দেখভাল সহজ নয়।
যে ঋতুকালে সাঁতরায়
তার ডানা নেই
যে ভরামাসে ম্যারাথন করে
তার অস্তি নেই
আমরা ফ্রকের ঘ্রাণ শুকতে শুকতে বাতাস কাটি
কানতামাশা দেখে দেখে ঝপঝপ আনন্দ করি।
আমি – চার
খসড়া মহিলার স্তনপোড়া জল,
থমথমে বাতাস,
ওদিককার আসবাবের নিয়তি
ফলত আমাদের বিকাল গেরস্তের গাভীর ওলানে,
অযাচিত বকুল বিলকুল সাফে হারেমের চূড়ায়।
প্রতিদিন মেঘ ঝুলে থাকলে, 'আমি' ভাবে
সকালটা এতো তীক্ষ্ণ হতো না
এগিয়ে যাক বয়স্কদের ধারালো পাঠ
চুপসে থাকুক আলোর দেয়াল
আমি এসবে ব্যবহৃত হৃৎপিণ্ড
আমি'র ঝড় বইছে।