স্বর্ণমৃগ, দেখেছো কি নিরালা জানলার পাশে রাঁধাচূড়োর যত রঙ ঝরে যায় পত্রবৎ, যেন সোনারোদেও মধ্যযাম!
আলোয়ান জড়িয়ে ধেয়ে আসে কালকেতু, আসে ফসফরাসের রাত; যেনবা ঝনঝনিয়ে গড়িয়ে গেল কয়েনসমগ্রে জমে থাকা একরোখা ঐকতান।
কেবল যামিনী জানে বুঝি গোপন
জটিল যতন, কিন্নরে বাজে রোদনের মতো কেটে
যাওয়া সুর। তখনই রক্তিম আঁখি, রক্তাভ পোখরাজ পাখা মেলে উড়ে যায় মৌনবিতান। সেখানে লিখা ছিল যত চিৎকার, মৌন গজল,
সানাইয়ের
সুর; মোৎজার্ট, বিথোফেন,
সিম্ফোনি
ও অন্ধ গায়কের গেয়ে ওঠা আধখানা
গান।
তবু লুন্ঠন শেষে
ঈশ্বরঘরে এসে নিশ্চিন্ত ঘুমোয় 'কু'খ্যাত
ডাকাত; শিথান পৈথানে জ্বলে থাকা চোরাচোখ, পিঙ্গলে মেখে আড়াআড়ি দুই হাত! ঘুমোয় ঘোর অঘোর মৃতের ন্যায়, তীব্র শ্লেষে হেসে ওঠে বন্দী, পাশ ফিরে
শোয়
অপঘাত- সেই দেশে কারা ও রক্ষকের পক্ষাঘাতেই পদপাত।
আহা মৃগ, ছুটছো মায়া হরিণীর পিছু? ওই
দ্যাখো, দ্যাখো চেয়ে ওই ভেঙ্গে ভেঙ্গে
ঝরে পড়ে শিউলির ঘ্রাণ। কামিনীও মেলে ধরে মুদে
আসা চোখ, কেতকীরে কয় কানে কানে, ক্যামোফ্ল্যাজে হারিয়ে গেল ইটিটকারীর জাতকূলমান।
শ্যাডোজ, শ্যাডোজ টেইক আ ব্রেক
ও শ্যাডোজ, আহ্ শ্যাডোজ!
পরা ও অধি সমস্ত
বাস্তবতার,
যখন কালো বা ভালো
পাহাড়ের নীচে ফুটে থাকে এক পদচিহ্ন কার,
অথবা জুম চাষে ভাঁজে
চরতে থাকা মায়াহরিণীর স্লেজ
মচমচ করে মুচড়ে ভেঙ্গে
খাচ্ছে যে শিশু ও বৃক্ষের রিব কেইজ,
তার অক্ষত কলার বোনের
গঠন সৌন্দর্য মাড়িয়ে যাওয়া ক্ষুরে
পৃষ্ঠ হওয়া বধির
ইনভ্যলিউট র্যাটল টেইল
প্রতিধ্বনিত হয় কার
অশরীরী কর্ণকুহরে!
ও শ্যাডোজ, ওহ্ শ্যাডোজ!
মে হাইড অন মাউন্টেইনস
ক্লিভেজ এণ্ড রেড ক্লিফস
খুঁজে যাওয়া অবিরাম সেই
মুখাবয়ব যার সৃষ্টি ধীর
উর্ধ্ব, অধঃ, নভো, কাল, ব্রক্ষ্মাণ্ড পূর্ব অথচ
স্থির
এক ধ্যান ও তূণ ভাঙ্গা
লেমন ইয়েলো দুপুরে
রেড ক্যাপসিকামের মতন
চঞ্চু সমেত উড়ে যাওয়া তীর্যক ছায়া পড়ে শুভ্র
আফিমের বনে।
ও শ্যাডোজ, ও মাই শ্যাডোজ!
দৃষ্টি ও দর্পণ জুড়ে
পুরষ্কার আর তিরষ্কার পাতা থাক
যে কবি অন্ধ হয়ে যাবার
পর, তাক করে তার সাড়ে পাঁচ
আঙুলের হাত
টিপ করে রাখে সটান ছিলা
ও ধনুকে মাপতে থাকা আধিয়ার;
শ্রুতিগহবরে
আন্দোলিত তুমুল
অভ্যন্তরীণ ইথার ও রেক্টাল আর্টারি,
আলফা ও থিটা ইকুয়েশনস
জেনে যায়, সে এক পাকা নির্ভুল
শিকারি।
শ্যাডোজ, কাম এণ্ড কোয়ায়েট শ্যাডোজ!
উত্তাল বারিষ ও উদগ্র
খরায় যখন প্রান্তর ফেটে যায়
এইট/সিক্স মাত্রায়
উর্বরা প্রস্তরেও যে পয়ার আঁকে হায়
তার অক্ষরের বৃত্তে
ফুটে ওঠে অস্পষ্ট খণ্ডিত পক্ষীমস্তক
মেলে ধরে অক্ষিপল্লব, কি রক্তিম সেই সুগোল অক্ষিগোলক
ইশারায় জড়ায় অদৃশ্য
অবয়বে ইচ্ছা ও দৃশ্যের পালক
অমানিশার ঘোর ন্যায়
পদযুগল মুড়ে নেয় ছাইরঙা সিল্কের মোজায়
আচমকা মন্দ্রপাহাড়ের
চুঁড়োয় বেজে ওঠে অপয়া অশনি ডঙ্কায়
ছুটে আসে রাত্তির কালো
বলিষ্ঠ ক্ষীপ্র যুগলপদ
অশরীরীর ছুটে যাওয়া
শরীরে স্থাপিত পক্ষীমস্তক
সকারের মতন প্যাশনেড
বাউন্সে গড়ায় ধুলোয়।
ও শ্যাডোজ, গুড গড ড্যাম শ্যাডোজ!
উইথ ট্রায়াঙ্গল এণ্ড
রেকট্যাঙ্গল ভিউজ
স্বীয় ছিন্নমুণ্ডু চেয়
থাকে নির্দ্বিধায়, ছুটে আসে- আসে ছুটে আসে
কী ক্ষীপ্রতায়, মাসকুলার লেগস টু
কীক আ ড্রিবলিং ফ্রীকি
হেড অফ ইট’স ওউন
উইথ পয়েন্টেড স্পাইকি
সু’জ, জাগে শিরায় তীব্র কাঁপন
কালো, ভালো ও সাথে মন্দ্রপাহাড় বিষ্ময়ে ঝুঁকে যায়
চেয়ে থাকে ছায়াদের মেতে
ওঠা প্রায়শ্চিত্ত খেলায়।